নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তান নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ প্রমাণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশকে বলে কয়ে নিজের দেশে টেনে নিয়েছে তারা। এর মাঝে তিন দিন আগে কোয়েটায় আত্মঘাতী বোমা হামলা দেশটির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছিল আবার। এর মাঝেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য খুশির সংবাদ এনে দিলেন ড্যারেন স্যামি। দুবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পাকিস্তানের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন।
গতপরশু রাতেই শুরু হয়েছে পঞ্চম পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানেই পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে স্বস্তি দিচ্ছে এই পিএসএলে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা। ৩৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার অংশ নিচ্ছে এবার। ড্যারেন স্যামি এঁদেরই একজন। পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক অবশ্য পিএসএলের নিয়মিত মুখ। যেখানে বিদেশি অনেক ক্রিকেটার পাকিস্তানে যেতে চান না, সেখানে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিয়ে নিতে চাচ্ছেন স্যামি।
পেশোয়ার জালমির মালিক জাভেদ আফ্রিদি জানিয়েছেন, পিএসএলের সুবাদে পাকিস্তানের আপন হয়ে ওঠা স্যামির জন্য আবেদন করেছেন তারা, ‘আমরা ড্যারেন স্যামির জন্য সম্মানস‚চক নাগরিকত্ব চেয়েছি। আপাতত এ আবেদন প্রেসিডেন্টের দপ্তরে আছে। আমি পিসিবি চেয়ারম্যানকেও বলেছি স্যামির হয়ে কথা বলার জন্য, যেন এ আবেদন পাশ হয়। পিএসএলের দ্বিতীয় মৌসুমের ফাইনাল যখন লাহোরে আয়োজনের চেষ্টা চলছি তখন স্যামি যে কথাগুলো বলেছিল তা হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।’
স্যামিও সবার আগে পাকিস্তানে এসেছেন। পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা এবারও প্রকাশ করতে কোনো রাখঢাক রাখেননি সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক, ‘আমি চাই পঞ্চম পিএসএল সবচেয়ে সেরা হোক। খেলোয়াড় ও ভক্ত হিসেবে চলুন আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিই, ক্রিকেট খেলার জন্য পাকিস্তান কত দুর্দান্ত। এখানে এসে ভালো লাগছে। আমিই প্রথম এসেছি। পাকিস্তানে এ টুর্নামেন্ট হওয়াতে আমি খুবই উল্লসিত। ২০১৭ সালে লাহোরের ফাইনাল ছিল ক্রিকেট ও পুরো পিএসএল টুর্নামেন্টকে এখানে আনার প্রথম ধাপ। আমি সারা জীবন বলেছি, আমি ঘরে ও বাইরে ক্রিকেট খেলছি। আমি জানি মানুষ ঘরের মাঠে তারকাদের দেখতে পছন্দ করে এবং পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা এ স্বাদ পাচ্ছিল না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।