পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে অর্ধ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি এবং ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে দুই দফায় ২৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে দুই ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপহরণের শিকার ব্যবসায়ী মো. ইয়াছিন (৫৫) বাদী হয়ে গতকাল বুধবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারকে (প্রশাসন ও অর্থ) নিজে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী শহিদুল ইসলাম সুমন।
আসামিরা হলেন- নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার, সাবেক ওসি ও চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার, বায়েজিদ থানার এসআই মো. আফতাব, এএসআই মো. ইব্রাহিম ও মিঠুন নাথ, কনস্টেবল রহমান ও সাইফুল। এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছেন। তবে এমন কোন অভিযোগ আগে তিনি পাননি। নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী ইয়াছিন মামলায় অভিযোগ করেন, ওসি আতাউর রহমান খন্দকারের সময়ে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় তাকে ডেকে নিয়ে জিম্মি করে অর্ধ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ১১ লাখ টাকা দিয়ে তিনি তখন ছাড়া পান। তার আগে সাদা কাগজে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
ওই ওসি বদলি হওয়ার পর নতুন ওসি প্রিটন সরকারের নির্দেশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফের তাকে অপহরণ করা হয়। সীতাকুন্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অটোরিকশায় নগরীর খুলশীর বাসায় ফেরার পথে শেরশাহ এলাকায় দুই পুলিশ সদস্য অটোরিকশা থেকে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর রাতের আঁধারে নগরীর নির্মাণাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকার নির্জন এলাকায় নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়।
তার কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে অর্ধ কোটি টাকা দাবি করা হয়। আর তা না হলে তাকে র্যাবে দিয়ে ক্রসফায়ার দেয়ার হুমকি দেয় পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে আগের ওসিকে যত টাকা দেয়া হয়েছে তারচেয়ে বেশি টাকা দিয়ে তাকে প্রাণে রক্ষার আশ্বাস দেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর তিনি তার ভাইয়ের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা জোগাড় করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
টাকা পেয়ে রাত ১২টায় হামজারবাগ এলাকায় তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন তিনি পুলিশের আইজি ও সিএমপির কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতেও কোন প্রতিকার না পেয়ে থানায় মামলা করেছেন বলে জানান ব্যবসায়ী ইয়াছিন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আতাউর রহমান খন্দকার ও প্রিটন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দুজনেই মামলার কথা শুনেছেন, তবে ওই ব্যবসায়ীকে চিনেনা বলে জানান। আতাউর রহমান বলেন, আমিতো অনেক আগেই বায়েজিদ থানা থেকে চলে এসেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।