মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনে ধীরে ধীরে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসছে। সোমবার সেখানে আরও ৯৮ জনের মৃত্যু হলেও আশার কথা, গত কয়েক দিনের তুলনায় মৃতের সংখ্যা অনেকটা কম। আবার নতুন আক্রান্তদের সংক্রমণও অনেক কম। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়িয়েছে। এ থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কর্মকর্তা আশার আলো দেখছেন।
মঙ্গলবার চিনের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে ৯৮ জন সহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৬ জনে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৩৬ জন। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে মঙ্গলবারই বেইজিং প্রথম জানাল, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ হাজার মানুষই আক্রান্ত হয়েছেন চীন থেকে।
চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছে, এই ৪৫ হাজার আক্রান্তের বেশিরভাগেরই সংক্রমণ ছিল সামান্য। তা ছাড়া সংক্রমণের সংখ্যা বেশি থাকার কারণ চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে সন্দেহের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা রিপোর্ট দিয়েছিলেন। সম্পূর্ণ রিপোর্ট আসার পর এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
তাদের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর অবস্থা গুরুতর নয়। এছাড়া ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ তীব্র এবং ৪ দশমিক ৭ শতাংশ গুরুতর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকজন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। অপরদিকে, ৪০ বছর বয়সী লোকজনের ঝুঁকি ০ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এক দশমিক ৩ শতাংশ, ৬০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৭০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি ৮ শতাংশ। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নারীদের তুলনায় পুরুষদের মৃত্যুর হার বেশি। পুরুষদের মৃত্যুর হার দুই দশমিক ৮ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে এক দশমিক ৭ শতাংশ।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২ হাজারের বেশি। এর পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কী ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে, তার উৎস কী, সে সব সম্পর্কে একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া গেল। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসুস বলেন, ‘আমরা আশাবাদি। তবে এখনই এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না, সংক্রমণের হার কমতেই থাকবে। প্রতিটি অবস্থাতেই আলোচনার অবকাশ রয়েছে।’
এদিকে, আগামী মাসে চীনে বার্ষিক কংগ্রেস স্থগিত রাখা হতে পারে। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।