মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৬ বছর বয়সী চীনা নাগরিক লু। বলা হচ্ছে, প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা লু-ই হচ্ছেন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি। চীনে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটিতে যেখানে অনেক যুবক মারা যাচ্ছেন, সেখানে প্রায় শতবর্ষী এই নারীর ‘ফিরে’ আসার বিষয়টি সবার মধ্যে আশা জাগাচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে ৯২ বছর বয়সী এক নারী ভাইরাসটির আক্রমণ থেকে রেহাই পান।
হাসপাতালের দেয়া এক বিবৃতির বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জিঝাং প্রদেশের নিংবো শহরের ওই নারী অসুস্থ হয়ে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে হংজুর জিঝাং বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে টানা তিনদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকার পর বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়পত্র পান।
হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক ড. শেং জিফেং বলেন, লু তার কন্যার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর তার কন্যা ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন তার এক বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে। এখন তার কন্যারও চিকিৎসা চলছে।
এ ধরনের রোগে বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসায় জটিলতার বিষয়ে উল্লেখ করে হাসপাতালের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক লিয়াং তিংবো বলেছেন, তারা এ সময় বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন। তাদের উচ্চরক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকে। এসবের মধ্যে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওা চিকিৎসকদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য। তারপরও লুয়ের মতো বয়স্ক রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠবেন এটাই সবার প্রত্যাশা।
এদিকে একটি বিস্তৃত ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরে সা¤প্রতিক দিনগুলিতে চীনে ‘কোভিড-১৯’-এ আক্রান্তের সংখ্যায় বড় ধরনের হ্রাসের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার মাত্র ২ হাজার ৬৪১ জনকে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওদিকে চীনের মূল ভূখন্ডে আরো ১৪৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫২৩-এ পৌঁছেছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে মোট নিশ্চিত হওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬৬ হাজার ৯২২।
‘কোভিড -১৯’ নামে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নামকরুণকৃত করোনভাইরাস গত ডিসেম্বর থেকে ২৪ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্য চীনে এর প্রথম সংক্রমণ দেখা দেয়। চীন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যাপক প্রচারে অভ‚তপূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হুবাই প্রদেশে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দুতে, ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক সম্মিলিত জনসংখ্যার শহরগুলি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, বহির্মুখী পরিবহন বন্ধ এবং কার্যত সমস্ত পাবলিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। সূত্র : রয়টার্স ও ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।