Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়ি

মো. শরীফুল ইসলাম, সখিপুর (টাঙ্গাইল) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সখিপুর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে ৮৫টি করাতকল। স্থানীয় বনবিভাগ তাদের কাছ থেকে মাসোহারা ও গোপনে গাছ বিক্রি করে সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
জানা যায়, বাঁশতৈল রেঞ্জের বংশিনগর, পাথরঘাটা, নলুয়া বিট, হাতিয়া রেঞ্জের হাতিয়া সদর, বাজাইল, কালমেঘা, কালিদাস, কড়ইচালা বিট, বহেড়াতলী রেঞ্জের বহেড়াতৈল সদর, এমএম চালা (আন্দি), ডিবি গজারিয়া (কৈয়ামধু), কচুয়া, কাকড়াজান (মরিচা), ধলাপাড়া রেঞ্জের ধলাপাড়া সদর, সাগরদিঘী বিট নিয়ে সখিপুর সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠিত। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর স্থাপিত অবৈধ করাতকলগুলো হলো, দাড়িয়াপুর আকন্দপাড়া বাজারে লুৎফর ও কাদের এর ২টি করাতকল, ডাবাইল গোহাইল বাড়ি বাজারে বাবুল, শরিফ, কামাল, শহিদ-এর ৪টি করাতকল, সাপিয়াচালা এলাকায় অজিত, জাফরের ২টি করাতকল, আইলসার বাজারে কামরুল, হেলাল, হামিদের ৩টি করাতকল, কাকড়াজান বাজারে নুরুজ্জামান, তাহের ভেন্ডার, রুস্তমের ৩টি করাতকল, বাঘেরবাড়ি বাজারে শহিদের ১টি করাতকল, হামিদপুর বাজারে আনছের আলীর ১টি করাতকল, জিতাশ্বরী বাজারে নজরুল, হামিদের ২টি করাতকল, গড়বাড়ি বাজারে কাশেম, মজনুর ২টি করাতকল, তৈলধারা বাজারে ১টি করাতকল, ছোটচওনা রিপন হাজীর ১টি, বড়চওনা সিদ্দিক, ফরহাদ ও সানোয়ারের ৩টি, আড়াইপাড়া সিদ্দিকের ১টি, দেবরাজ এলাকায় মোস্তফা, বকুলের ২টি, খুংগারচালা তাইবুরের ১টি, ইন্দারজানি ১টি, কুতুবপুর কামাল, রমিদ, সেলিমের ৩টি, চাম্বলতলা আজাহারের ১টি, দাড়িপাকা কুতুবউদ্দিনের ১টি, আবেদনর আবুলসহ ২টি, কালিদাস মকবুল, ফরিদের ২টি, নাকশালা ২টি, জিনের বাজার গোলাপের ১টি, চতলবাইদ ১টি, হতেয়া আবুবকর, রহিম, মোসলেম এর ৩টি, হতেয়া কাজীপাড়া রুস্তমের ১টি, হতেয়া ভাতকুড়া চালা চাঁনমাহমুদের ২টি, হলদিয়া চালা গিয়াস উদ্দিন (হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান) এর ১টি, তক্তারচালা আলমসহ ৩টি। এছাড়া নামবিহীন প্রায় ২০টি অরৈধ করাতকল রয়েছে।
সখিপুর পৌরসভার ভেতর বনভূমি রয়েছে। অথচ পৌরসভার দোহাই দিয়ে ও আইনের ফাঁক ফোঁকর এর মাধ্যমে পৌর এলাকায় ২৯টি করাতকল গড়ে ওঠেছে। এর মধ্যে ৪/৫টির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, বাকিগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা জান্নাত তাহেরা এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইতোমধ্যে সখিপুর পৌর এলাকায় সাইজউদ্দিন, ফারুকের করাতকল উচ্ছেদ করেছেন এবং পৌর এলাকার বাইরে কালিদাস মকবুলের ও গড়বাড়ি এলাকায় কাশেম, মজনুর ২টি করাতকল উচ্ছেদ করেছেন। উচ্ছেদ করার পর পুনরায় মকবুলের ও মজনুর করাতকল দেদারছে চলছে।
সখিপুর পৌর করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি জিন্নত আলী জানান, অবৈধ করাতকলের বিষয়ে বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।
বহেড়াতলী রেঞ্জ অফিসার এএইচএম এরশাদ হোসেন জানান, অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত আছে, করাতকল উচ্ছেদ করার পর যাবতীয় যন্ত্রাংশ বনবিভাগের হেফাজতে নিয়ে আসি এরপরও কেউ পুনরায় করাতকল চালু করে থাকলে আমার জানা নাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ