Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাইপাস সার্জারির সুবিধায় ক্যাথল্যাব উদ্বোধন : সার্জারি চিকিৎসক

৫৭ বছর পর মমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রাম, রিং, পেস-মেকার স্থাপন

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০৫ পিএম

দীর্ঘ ৫৭বছর পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিওগ্রাম, রিং, পেস-মেকার স্থাপনসহ বাইপাস সার্জারির সুবিধায় ক্যাথল্যাব উদ্বোধন হলেও সংশ্লিষ্ট সার্জারি চিকিৎসক না থাকার কারণে অপারেশন কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। এতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেবা প্রার্থী প্রায় তিন কোটি মানুষ ক্যাথল্যাব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে।

জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ বহুল কাঙ্খিত ক্যাথল্যাব সেবা পেতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অসংখ্যা চিঠি চালাচালি করেছেন। শেষতক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাথল্যাব মেশিন সরকারী বরাদ্ধ পেলেও সংশ্লিষ্ট কার্ডিওলজি বিভাগে স্থায়ী ভাবে সার্জারী কোন চিকিৎসক নিয়োগ না দেওয়ার কারণে উদ্বোধনের দিন ক্যাথল্যাবের কোন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট কার্ডিওলজি বিভাগে স্থায়ী ভাবে সার্জারী চিকিৎসক নিয়োগ না পেয়েই তড়িগড়ি করে নিজেরাই ক্যাথল্যাব মেশিনের শুভ উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মীর জামাল উদ্দিন। এসময় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ল²ী নারায়ণ মজুমদার, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ বারিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগের চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন। তবে রহস্যজনক কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে সৃষ্টি হয়েছে নানান কানাঘোঁষা। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে সাড়ে ৪ ঘন্টা বিলম্বে মতবিনিময় সভা করেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: লক্ষী নারায়ণ মজুমদার। এতে দাওয়াত না পেয়ে ময়মনসিংহের একাধিক প্রেসক্লাবের অনেক সিনিয়র সাংবাদিক ছিলেন অনুপস্থিত।

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: লক্ষী নারায়ণ মজুমদার বলেন, হাসপাতালটি এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হলেও সারা বছর রোগী ভর্তি থাকেন ৩ থেকে ৪ হাজার। ফলে ডাক্তার ও শয্যা সংকটে সবাইকে সুচিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, কার্ডিওলজি বিভাগে স্থায়ী ভাবে সার্জারী চিকিৎসক নিয়োগ না পাওয়া বহুল প্রত্যাশিত এ সেবা কার্যক্রম সচল রাখতে বেসরকারী ভাবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা বেতনে একজন সার্জারী ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ জন্য আউট ডোরের কিছু নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ আদেশ বাতিল করে এ টাকার যোগান দেয়া হবে।

ডা. ল²ী নারায়ন মজুমদার আরো জানান, কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব চালু হওয়ায় এনজিওগ্রাম করার পর রোগীদের স্বল্পমূল্যে রিং পড়ানো, পেসমেকার স্থাপন ও হার্টের ভাল্ব রিপেয়ারিংসহ বাইপাস সার্জারি করা সম্ভব হবে। মেডিক্যাল, ইন্টারভেনশন ও সার্জারি ধরনের সেবাও মিলবে এ ক্যাথল্যাবে। তিনি আরো জানান, হাসপাতালের ওয়ানষ্টপ সার্ভিস ও কিডনি রোগিদের ডায়ালাইসিস সুবিধার পাশাপাশি ক্যাথল্যাব সুবিধা চালু হওয়ায় ময়মনসিংহ বিভাগ ও আশপাশের জেলার রোগিদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগিদের বিনামুল্যে শতভাগ ওষুধ সরবরাহ ও রোগির সেবার মাধ্যমে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ায় ২০১৯ সালে সেরা হাসপাতালের মর্যাদা লাভ করেছে। এবারো সেরা তালিকায় রয়েছে হাসপাতালটি। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবসহ হাসপাতালের সকল পর্যায়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উদ্বোধন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ