Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাভাইরাসের নাম বদলে কোভিড -১৯’ করল ডব্লিউএইচও

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:১৬ এএম

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মারাত্মক ভাইরাসের সরকারি নাম হবে ‘কোভিড -১৯’ এবং ডব্লিউএইচও বলছে যে, এই রোগটি বিশ্বের জন্য একটি ‘অত্যন্ত মারাত্মক হুমকি’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, তবে এটি বন্ধ করার একটি ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াস জেনেভাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের এই রোগের একটি নাম রয়েছে এবং এটি ‘কোভিড -১৯’।
টেড্রোস বলেন যে, ‘সিও’ বলতে ‘করোনা’, ‘ভিআই’ বলতে ভাইরাস এবং ‘রোগ’ এর জন্য ‘ডি’ বোঝায়। আর ‘১৯’ বছরের জন্য। কারণ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম এই রোগটির প্রকোপ চিহ্নিত হয়েছিল।
ডব্লিউএইচও এর আগে ভাইরাসটি ‘২০১৯-হঈড়ঠ ‘তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগ’ অস্থায়ী নাম দেয় এবং এই সপ্তাহে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে যে, তারা সাময়িকভাবে এটিকে ‘নভেল কোরোনাভাইরাস নিউমোনিয়া’ বা এনসিসিপি বলে অভিহিত করেছে।
২০১৫ সালে জারি করা নির্দেশিকাগুলির একটি সেটের অধীনে ডব্লিউএইচও হ’ল ইবোলা এবং জিকা’র মতো জায়গাগুলির নাম ব্যবহারের বিরুদ্ধে পরামর্শ দেয় - যেখানে এই রোগগুলি প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল এবং যা এখন জনগণের মনে অনিবার্যভাবে তাদের সাথে যুক্ত রয়েছে।
‘মধ্যপ্রাচ্য রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম’ বা ‘স্প্যানিশ ফ্লু’-এর মতো আরও সাধারণ নামগুলিও এখন এড়ানো হচ্ছে কারণ এসব রোগ পুরো অঞ্চল বা জাতিগত গোষ্ঠীকে কলঙ্কিত করতে পারে।
ডব্লিউএইচও আরও উল্লেখ করেছে যে, নামের হিসাবে প্রাণী প্রজাতি ব্যবহার করা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যেমন ২০০৯ সালে যখন এইচ১এন১ জনপ্রিয়ভাবে ‘সোয়াইন ফ্লু’ হিসাবে পরিচিত ছিল। যে বিজ্ঞানীরা এসব রোগ চিহ্নিত করেন তাদের নামের সংশ্লিষ্টতাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ