নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গোটা দেশ যখন অন‚র্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যে ভাসছে, তখন আরও একবার ব্যর্থতা ‘উপহার’ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। আরও একটি অসহায় হার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে মুমিনুল হকের দল। ম‚লত, গত বিশ্বকাপ থেকে সব সংস্করণের ক্রিকেটেই বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। এই বৃত্ত ভাঙতে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বেশ কঠিন সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ম‚লত বাংলাদেশের হারের চেয়ে হারের ধরনই বেশি দৃষ্টিকটু। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে যেন ভয়ে কাঁপছিল তারা। সে ধারা দেখা গেল পাকিস্তানেও। ওাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে দেড় ঘণ্টাও টেকেনি বাংলাদেশের প্রতিরোধ লড়াই। এর আগে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে নাস্তানুবাদ হয়ে এসেছে দলটি। এমনকি ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের নবীন সদস্য আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হেরেছে বাংলাদেশ। যেন ব্যর্থতার মালা গলায় জড়িয়ে আছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তাই এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে নিজেকে আরও বেশি করে জড়িত করার কথা বলেছেন পাপন। পাকিস্তানে টাইগারদের ব্যর্থতার পর বিসিবি কার্যালয়ে বিসিবি সভাপতি বেশ কঠিন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘অবশ্যই, অনেক বেশি। আমি এসব থেকে সরে আসতে চাচ্ছিলাম। দুই বছর ধরেই বলছি, আমি এখন আর আগের মতো জড়িত না। এত দিনে ওদের শিখে যাওয়ার কথা। এখন মনে হচ্ছে, সবকিছুতে জড়িত না হয়ে উপায় নেই। হতেই হবে এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।’
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ দল আসার পর দুই-একদিনের মধ্যেই দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন পাপন। এরপর তিনি চেষ্টা করবেন টানা ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করার। জানা গেছে, টানা ব্যর্থতার কারণে জাতীয় দলে ব্যাপক রদবদল হতে পারে। বদল আসতে পারে নেতৃত্বেও। কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টেও পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। তবে এসব বিষয়ে খুলে বলেননি পাপন। আপাতত বাংলাদেশ অন‚র্ধ্ব-১৯ দলের সাফল্য নিয়ে ভাবছেন তারা। দুই-তিনদিন পরই এ নিয়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।
তবে তার আগেই দলের এই ভরাডুবির কারণ খতিয়ে দেখতে সভায় বসছেন নির্বাচকেরাও। পাকিস্তানে গিয়ে সাদা পোশাকে বাজে হারের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের অমন অ্যাপ্রোচ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালেও। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে সমাধান বের করতে আগামীকালই সভায় বসবেন তারা। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল জানান, সর্বশেষ টেস্টেও দলের বেহাল দশা চিন্তায় ফেলেছে তাদের, ‘এটা একটা চিন্তার কারণ। বিদেশে আমরা টেস্ট ভাল খেলি না অনেক দিন থেকে। আপনি কীভাবে লাল বলের ক্রিকেট খেলবেন এটা ঠিক করতে হবে। পরিকল্পনা কীভাবে করছেন, কীভাবে এগুচ্ছেন এটা কিন্তু বড় বিষয়। পাঁচ দিন খেলার মন মানসিকতা না থাকলে কিন্তু এখান থেকে ফিরে আসা কঠিন। এটা চিন্তার বিষয়। ম্যানেজমেন্ট ফিরলে বসে ঠিক করতে হবে করনীয়।’
সামনে আছে জিম্বাবুয়ের সিরিজ। তাদের বিপক্ষে খেলতে হবে টেস্ট। নামেভারে তারা কম শক্তির দল হলেও গত বছর ওদের কাছেই এক টেস্টে হেরে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এবার কেবল একটাই টেস্ট। এই টেস্টের আগে দলে ব্যাপক অদল বদল না হলেও কিছু জায়গা নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারে বাংলাদেশ। তেমন আভাসই দিলেন মিনহাজুল, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের মিটিং আছে এটা নিয়ে। আমরা বসব। দলের জন্য যেটা ভালো সেটা করা হবে। চাইলেই তো সব খেলোয়াড়দের বদলে দিতে পারবেন না। কিছু খেলোয়াড়দের দরকার আছে। আমাদের অনেক খেলোয়াড়ই কিন্তু অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে, সবাই কিন্তু পরিপক্ব। তাদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।