পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা ও ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলায় অভিযুক্ত আফজাল গুরুর মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ৬ষ্ঠ বার্ষিকীতে রোববার কাশ্মীর জুড়ে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। স্বাধীনতাকামী জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের খবর প্রকাশ করায় শনিবার পুলিশ দুইজন সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যায়। কাশ্মীর প্রেস ক্লাব এই তলবকে সাংবাদিক হয়রানি হিসেবে অভিহিত করেছে। হরতালে কাশ্মীরের প্রধান নগরী শ্রীনগরসহ অন্যান্য শহরে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয়নি। এদিকে আফজাল গুরুর ফাঁসির ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে বিক্ষোভ প্রতিহত করতে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের নজরবন্দিতে রাখে ভারতীয় বাহিনী। শহরের গুরুত্বপ‚র্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সহিংসতায় উস্কানী দেয়া ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটানার জন্য জেকেএলএফ’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ টহল উপেক্ষা করে কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে র্যালি ও বিক্ষোভ করেছে কাশ্মীরের বিভিন্ন সংগঠন। সিনিয়র হুররিয়াত নেতা আলতাফ বাট আফজাল গুরুকে ‘অমর’ আখ্যায়িত করে বলেন, আফজাল গুরু ও অন্যান্য শহীদের ত্যাগের কারণে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন প্রাণ পেয়েছে। ফাসিঁর পর আফজাল গুরুকে তিহার জেলে দাফন করে ভারত সরকার প্রমাণ করেছে, তারা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের কতটুকু ভয় পায়। আফজাল গুরুর ফাঁসির রায়কে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের ‘বিচারিক হত্যাকাÐ’ বলেও অভিহিত করেন আলতাফ বাট। ২০০১ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে ভয়াবহ হামলায় ১০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী নেতা মোহাম্মদ আফজাল গুরুকে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দেয়া হয়। এরপর দিল্লির তিহার কারাগারেই তাকে দাফন করা হয়। ভারতের প্রখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায়সহ বহু মানবাধিকারকর্মী আফজাল গুরুর বিচারে গুরুতর ত্রæটির কথা তুলে ধরে প্রহসনের বিচারে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে ভারতের ছাত্র সংগঠন ডিএসইউসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনও আফজাল গুরুর ফাঁসি কার্যকরের দিনটি প্রতিবছরই মর্যাদার সঙ্গে পালন করে ।ভারতীয় শাসন থেকে মুক্তির সংগ্রামে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি কাশ্মীরি প্রাণ দিয়েছে। এপি, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।