মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জলবায়ু পরিবর্তন এবং তার কুপ্রভাব সম্পর্কে প্রায় নিত্যদিনই সতর্ক করে থাকে কোনও না কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠন। এ বার যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল তা ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে সাধারণ মানুষের। ইউরোপের এক পরিবেশরক্ষা সংস্থা একটি বিশেষ মানচিত্র প্রকাশ করেছে যাতে দেখানো হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে না পারলে কী ভাবে আগামী দিনে জলের নীচে তলিয়ে যাবে এই মহাদেশের একের পর এক শহর!
দাবানলের জেরে এমনিতেই আতঙ্কিত ইউরোপবাসী। এর মধ্যেই ওই পরিবেশরক্ষা সংস্থার দাবি, শতাব্দীর শেষের দিকে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে এই আগুন। এক দিকে যেমন নতুন নতুন এলাকা তার গ্রাসে চলে যেতে পারে, অন্যদিকে তেমনই বাড়তে বাড়ে দাবানলের তীব্রতাও।
মানচিত্রে দেখানো হয়েছে, অবাধ গাছকাটা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে এবং বন্যা প্রতিরোধে এখন থেকে সতর্ক না হলে এই শতাব্দীর শেষে এক মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে সমুদ্রস্তর। হালের মতো শহরের ৯০ শতাংশ পানির নীচে চলে যেতে পারে! এখানেই শেষ নয়। জলাবদ্ধ হয়ে পড়তে পারে নরউইচ, মারগেট, রানকর্নের মতো শহরের অর্ধেকের বেশি অংশ। ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়তে পারে হেগ, রটেনড্যাম। রিপোর্টের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে আগামী দিনে মরুকরণের মুখে পড়তে হতে পারে স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্সকে।
শীত এবং গ্রীষ্মে দু’ধরনের বিপদ গ্রাস করতে পারে ইউরোপবাসীকে। এক দিকে, শীতে বাড়বে অতিরিক্ত বর্ষণ এবং বন্যার ভ্রূকুটি, অন্যদিকে গ্রীষ্মের আতঙ্কের নাম-দাবানল। গরম পড়লেই এই মহাদেশের একটি অংশের মানুষের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠে জঙ্গলের আগুন। গত কয়েক বছরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে সুইডেনে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা এ ভাবে বাড়তে থাকলে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলিতে ভয়াবহ রূপ নেবে দাবানল। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হবে প্রশাসনকে। উল্টো দিকে শীত আর শুষ্ক থাকবে না। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি প্রবণতা বাড়বে শীতের দিনগুলিতে। এমনকী, বন্যাও হতে পারে। মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের এমন বৃষ্টি এবং বন্যার পরিমাণ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রিপোর্ট এর আগেও ছাপা হয়েছে। এ বার রিপোর্টের সারাংশ ছাপা হয়েছে মানচিত্রের আকারে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সরকারের কেউ রিপোর্ট তো পড়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। আশা করা যায়, এই মানচিত্র অন্তত তারা দেখবেন এবং কিছু ব্যবস্থা নেবেন।
রিপোর্টটি যে বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছেন তাদের অবশ্য আশা, এখনও সময় আছে। এত দিনে যা ক্ষতি হয়েছে তাতে কিছুটা বিপর্যয়ের সাক্ষী হতেই হবে, কিন্তু এখন থেকে সাবধান হলে অন্তত ভয়াবহ পরিণতির হাত থেকে বাঁচা যাবে। সূত্র: কার্বন ব্রিফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।