পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতুর ২৪তম স্প্যান বসানো হবে আজ মঙ্গলবার। এ মাধ্যমে সেতুর দৈর্ঘ্য পৌনে চার কিলোমিটারের কাছাকাছি পৌঁছাবে। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সেতুর স্প্যানগুলোর সঙ্গে ৩০ ও ৩১ নাম্বার পিয়ারে বসানো হবে। বর্তমানে এটি অস্থায়ীভাবে ১২ ও ১৩ নাম্বার পিয়ারে বসানো আছে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই প্রথম একসঙ্গে ১১টি স্প্যান দেখা যাবে।
গতকাল সোমবার সকালে মাওয়া প্রান্ত থেকে শক্তিশালী ক্রেন ১২ ও ১৩ নাম্বার পিয়ারে গিয়ে সেতুর স্প্যানটি তুলে নেওয়ার প্রস্তুতিতে ছিল। পদ্মাসেতু নির্মাণকারী চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির একজন প্রকৌশলী জানান, আজ সকাল আটটায় শক্তিশালী তিয়ানহো নামের ক্রেন সেতুর ২৪তম স্প্যানটি তুলে শরীয়তপুরের দিকে নিয়ে ছুটবে। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকলে আজই ৩০ ও ৩১ নাম্বার পিয়ারে এটি বসানো হবে।
সরেজমিনে পদ্মা সেতুতে দেখা গেছে, ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৮টির কাজ পুরোপুরি শেষ। বাকি আছে ৪টি খুঁটির কাজ। যা শেষ হবে আগামী এপ্রিলে। আর পদ্মা সেতুতে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২৩টি বসানো শেষ হয়েছে। বাকি আছে ১৮টি। বাকিগুলো আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বসে যাবে।
এদিকে সেতুর স্প্যানের উপর সড়কপথ নির্মাণের কাজ জাজিরা প্রান্ত থেকে দিনরাত চলছে। দিনে ৮টি করে রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। প্রায় তিন হাজার রোড ওয়ে স্ল্যাব বসাতে হবে। এরমধ্যে প্রায় ৩০০টি রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানোর পর সেখানে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। যা চলতি বছরের শেষের দিকে শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে সেতু সূত্র। সেতু নির্মাণকারী চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রকৌশলীরা জানান, সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩৮টি পিয়ারের কাজ শেষ। বাকি রয়েছে ১০, ১১, ২৬ এবং ২৭ নম্বর পিয়ারের কাজ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। মাঝখানে সেতুর খুঁটিতে জটিলতায় প্রায় এক বছর পিছিয়ে যায় কাজ। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতু চালু করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২০২১ সাল করা হয়। সেতু চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২৫ জেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সেতু সংযোগ ঘটাবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ককে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।