মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা ভাইরাসকে জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘সিরিয়াস অ্যান্ড ইমিনেন্ট থ্রেট’ বা গুরুত্বর এবং অত্যাসন্ন হুমকি হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি এর বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন করে শক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ ঘোষণা দেন।
গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিকে জোর করে কুয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে। তাকে অবাধে চলাচল করতে দেয়া হবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৪০ হাজার। এর মধ্যে বেশির ভাগই চীনে। এখন পর্যন্ত বৃটেনে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন।
অন্যদিকে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৯১১। এ অবস্থায় আজ সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, উইরালে অ্যারো পার্ক পাসপাতাল ও মিলটন কিনিসে কেন্টস হিল পার্ক কনফারেন্স সেন্টারকে ‘আইসোলেশন’ বা কুয়ারেন্টাইন বানানো হয়েছে। উহান থেকে দুটি ফ্লাইটে বৃটিশ নাগরিকদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়া করার পর এ তথ্য বেরিয়ে এলো। রোববার বৃটেনের শেষ উদ্ধারকারী ফ্লাইট প্রায় ২০০ বৃটিশ ও বিদেশী নাগরিককে উদ্ধার করে অবতরণ করে বিমান বাহিনীর ব্রিজ নর্টনে। উদ্ধার করা এসব লোকজনকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে নেয়া হয়েছে কেন্টস হিল পার্কে। এর আগে যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা বর্তমানে অ্যারো পার্ক হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় আছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা আমাদের বিধিবিধান কঠোর করছি। যাতে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে নিঃসঙ্গ অবস্থায় রাখতে পারি। যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক পেশাদাররা মনে করেন, তাদের থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাহলে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে।
এদিকে চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ লাখ বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন। এ প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা বলছেন, নতুন এ করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র উহানের অনেক বাসিন্দা সংক্রমিত হলেও তারা জানেন না। ফলে আগামী দিনগুলোতে উহানে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
চীনের এই মেগাসিটিতে গত বছরের শেষ দিকে ২০১৯-এনকভ ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করায় গত ২৩ জানুয়ারি অবরুদ্ধ ঘোষণা করে উহানের এক কোটি ১০ লাখ মানুষের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়।
প্রত্যেক দিন যে গতিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে; মহামারি-সংক্রান্ত বিদ্যার গাণিতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে সেই সংখ্যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশাল আকার ধারণ করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।