নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিলো চরম উত্তেজনার ম্যাচ। পরাজয়ের পর ভদ্রতা বজায় রাখতে পারেন নি ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। প্রতিপক্ষের উদযাপন সহ্য করতে না পেরে মেজাজ খারাপ করেই ভারতীয় একজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারের কাছ থেকে কেড়ে নেন লাল-সবুজ পতাকা। এ সময় ভারতীয় ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে কিছুটা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে জয়ের উল্লাসরত টাইগারদের। তবে বিষয়টিকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের অপেশাদারিত্বের পরিচয় হিসেবে মন্তব্য করেছেন ধারাভাষ্যকাররা।
এদিকে এই ঘটনার জন্য দুই দলের অধিনায়ক একে অপরকে দোষারোপ করে। কিন্তু টিভি ক্যামেরা যতটুকু দেখা গেছে, তাতে দোষটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের বলেই মনে করছেন সবাই। ভিডিওটি ইতোমধ্যে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এমন অশোভন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে নেটিজেনরা।
এ প্রসঙ্গে ফয়সাল মাহমুদ ফেইসবুকে লিখেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই হার জিত থাকেই। তবে গতকাল ভারত ম্যাচ শেষে জাতীয় পতাকা টান দিয়ে যে আচরণ বিশ্বকে দেখালো, তা সত্যিই শিষ্টাচার বহির্ভূত ছিলো। অবশ্য পূর্ববর্তী বিভিন্ন আচরণ দেখে অনুমান করাই যায়, কার কাছ থেকে কতটুকু আশা করা উচিত।’
‘ভারত একটা অহংকারী দেশ। এখানের বেশীর ভাগ মানুষ বেয়াদব। খেলায় পারে নি, খেলা শেষে নিজেদের চরিত্রের পরিচয় দিলো।’ - খালিদ হাসান রবিনের মন্তব্য।
এমডি আজিজের দাবি, ‘এই অপরাধের জন্য ভারতীয় টিমকে অফিসিয়ালি মাফ চাইতে হবে।’
নিন্দা জানিয়ে এমডি মহসিন আলি লিখেন, ‘ইন্ডিয়ার নিকট থেকে কখনই ভালো কিছু আশা করি না। আমি এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
‘এটা আমার স্বাধীন দেশের প্রতি চরম অপমান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দাবী করা উচিত’ বলে মনে করেন গোলাম মুস্তাফা সুমন।
আবদুল মালেক পারভেজ লিখেন, ‘হারার পর মাথা গরম করলে সমস্যা। খেলার পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা করার কৌশলও শিখা দরকার ভারতের।’
‘এতোদিনে বুঝলাম ভারতীয় ক্রিকেটাররা বেয়াদবি জিনিসটা প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শিখে আসে।’ - লিখেছেন মেহেদী হাসান সুমন।
জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে এই প্রসঙ্গে মাসুম শেখ লিখেন, ‘আমি মনে করি খেলার মাঠের মাঠের ঘটনা খেলার মাঠে থাকা উচিত । দুই পক্ষই আক্রমনাত্মক ছিলো। তবে শেষের দিকে ভারতের ছেলেরা অতিরিক্ত স্লেজিং করেছে, যেটা খেলার সুন্দর্য নষ্ট করেছে। অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে এমন একটি জয় উপহার দেয়ার জন্য।’
তিরস্কার জানিয়ে গাজী কুতুব উদ্দিন লিখেন, ‘ক্রিকেট একসময় ভদ্রলোকের খেলা ছিলো। এরপরে ইন্ডিয়ার .....গুলো ক্রিকের খেলা শুরু করলো, বাকিটা ইতিহাস!’
হুঁশিয়ারি দিয়ে শরীফুল ইসলাম লিখেন, ‘সব খানেই ভারতীয় আগ্রাসন চলবে না। এইটা মনে রাখা উচিত ভারতের।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।