Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলাপাড়া হাসপাতালে পানির পরিবর্তে রুগীকে এসিড পান করার ঘটনায় তোলপাড়, তদন্ত কমিটি গঠন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:১৪ পিএম | আপডেট : ৬:৩২ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিপা হাওলাদার (২২) নামে এক গর্ভবতী নারীকে পানির পরিবর্তে ভুলক্রমে এসিড খাওয়ানোর ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড়। এ ঘটনায় চিকিৎসক জুয়ায়েদ হোসেন লেলিনকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডাক্তর অনুপ কুমার সরকার,ডাক্তর সাইমুন সুলতানা শান্তা,ডাক্তর মাহমুদুল রহমান মিতুল, সেবিকা কল্পনা বিশ্বাস ও প্রধান অফিস সহকারি মো.মনোয়ার হোসেন।
আহত নিপা হাওলাদারকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত জন্য চিকিৎসার ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয় বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে ভায়া টেষ্ট কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল সেবিকাদের গাফেলতির কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীর স্বজনরা দাবী করেছে। নিপা হাওলাদার কলাপাড়া পৌরশহরের বাদুরতলী এলাকার পুলক হাওলাদারের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভায়া টেষ্ট করার জন্য সংশ্লিষ্টরা মাম পানির বোতলে এসিড এনে রাখেন। রোগীর স্বজনরা পানি ভেবে ভুলে এসিড পান করালে নিপা হাওলাদার চিৎকার দিয়ে। এসময় কর্তব্যরত সেবিকা (নার্স) সালমা বেগম ভায়া টেষ্ট কক্ষে অবস্থান করছিলেন।এ বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ধিক্কার জানাতে শুরু করে এলাকার মানুষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রোগীর স্বজনদের দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।
নিপা হাওলাদারের স্বামী পুলক হাওলাদার জানান, যারা ভায়া টেষ্ট করবেন তারা বোতলটি কেন নিরাপদ স্থানে রাখলেন না ? তার স্ত্রী একতো গর্ভবতী, তার মধ্যে এসিড’র এমন ঘটনায় তিনি হতাশ হয়েছেন।
তবে সেবিকা সালমা বেগম ভায়া টেষ্টের সময় ওই কক্ষে অবস্থান করলেও নিজেকে আড়াল করতে বিষয়টি অন্যর ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন’ যিনি ভায়া টেষ্ট করেছেন তার নাম তিনি জানেন না। তবে রোগীর চিৎকার শুনে তিনি ছুটে এসেছিলেন।
কলাপাড়া হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদার জানান, একটি নিদ্রিষ্ট কক্ষে ভায়া টেষ্ট করানো হয়। সেখানে সেবিকা সালমা বেগম ছিলেন, তার অগোচরে রোগীর লোকজন পানি ভেবে এসিড পান করান। এ ঘটনায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তদন্ত কমিটি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ