বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার সীমান্তবর্তী দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের বড়কোল এলাকার নির্জন মাঠে পাওয়া পোড়া লাশের পরিচয় শনাক্ত ও তাকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ঘাতকদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পরিচয় উদঘাটন হওয়া ব্যক্তির নাম সেলিম প্রামানিক (৩২)। তার বাবার নাম কফির উদ্দিন । অপরদিকে গ্রেফতারকৃত ঘাতকরা হল রুপালী বেগম (২৫) ও তার বাবা আব্দুর রহমান ।
পেশায় রং মিস্ত্রি নিহত সেলিম ও রুপালীদের বাড়ি দুপচাঁচিয়ার খিদিরপাড়া গ্রামে। তারা পরষ্পর পরিচিত । শনিবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তার কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিং এ’ এই রহস্য উদঘাটনের লিকিত বিবরণ দিয়ে জানান, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় সেলিম ও রুপালী পুর্বপরিচিত এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল । তবে ঘটনা চক্রে তাদের দু’জনেরই অন্যত্র বিবাহ হলেও দু’জনের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল । দেড় বছর আগে রুপালীর স্বামী সৌদী আরবে গেলে দুজনের ঘনিষ্ঠতা ফের বাড়ে ,গোপনে দৈহিক সম্পর্কও হয় । সম্প্রতি সেলিম রুপালীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রুপালী তাতে অসম্মতি জানায় । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম রুপালীর সাথে তার দৈহিক সম্পর্কের সময় মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র রুপালীর প্রবাসী স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুপালী ও তার বাবা সেলিমকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে । ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে রুপালী মোবাইল ফোনে সেলিমকে গোপনে পালিয়ে বিয়ে করার কথা বলে নিজের কাছে ডেকে নেয় । এরপর রাতে ভ্যান যোগে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বেরুজ গ্রামে যাওয়ার কথা বলে রওয়ানা দিয়ে বড়কোল এলাকার নির্জন মাঠে গিয়ে রুপালী তার বাবা ও অপর ৩ ভাড়াটে খুনির হাতে সোপর্দ করে বাসায় ফিরে যায় । এরপর খুনিরা নির্জন মাঠে সেলিমকে বেঁধে তার মুখ স্কচ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে গলা কেটে মেরে ফেলে । এরপর তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলে । লাশ পোড়ানোর আগে সেলিমের মোবাইল ফোন সহ জিনিসপত্র তার বুকের ওপর রেখে দেয় যাতে সব প্রমান মুছে যায় । এছাড়া সেলিমের ডেড বডির কাছে কনডমের প্যাকেটও ফেলে রাখা হয় , যাতে ঘটনার মোড় অন্যদিকে প্রবাহিত হয় ।
মাঝরাতেই হত্যা মিশন শেষ করে ঘাতকরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায় । পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারী দুপুরে নিহত সেলিমের পোড়া দেহ পাওয়া গেলেও তখন কেউ তাকে চিনতে পারেনি । তবে সরেজমীনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার ডিবিকে হত্যা রহস্য উদঘাটনের নির্দেশ দিলে ডিবির তদন্তকারী টিম দ্রæততম সময়ে হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং প্রধান ২ আসামীকে গ্রেফতার করে । পুলিশ বাকি আসামীদের ও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান হয়েছে।
এছাড়া নিহত সেলিমের বাবা কফির উদ্দিন দুপচাঁচিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।