Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিকিৎসার নামে বিশ্বনাথে তরুণীকে ধর্ষণ

সস্ত্রীক কবিরাজ গ্রেফতার

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

সিলেটের বিশ্বনাথে চিকিৎসার নামে ঝাড়-ফুঁকের কথা বলে ১৯ বছরের এক তরুণীকে প্রায় দেড় বছর ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে কমরুদ্দিন (৫০) নামে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। বর্তমানে সে বিশ্বনাথ পুরান বাজার (শরীষপুর) এলাকার আছদ্দর ম্যানশনে ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে সিফা তদবিরালয় খুলে রমরমা কবিরাজি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতা তরুণীর মা উপজেলার নরসিংপুর গ্রামে বসবাসকারী নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার বড়কুট গ্রামের দিনমজুর সাদেক মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই তালাবন্দি সিফা তদবিরালয় থেকে তরুণীকে উদ্ধার ও কবিরাজের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করে পুলিশ। মধ্যরাতে আটক করা হয় কবিরাজ কমরুদ্দিন। পরে তরুণীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তরুণীর মা হালিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, প্রায় দেড় বছর পূর্বে আমার বড় মেয়ে (ওই তরুণী) নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ে কবিরাজ কমরুদ্দিনের শরণাপন্ন হই। চিকিৎসার প্রয়োজনে মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে এবং নগদ ১০ হাজার টাকা দিতে বলে সে। আমি কথামত টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি। পরবর্তীতে মেয়েকে আনার জন্যে সিফা তদবিরালয়ে যাওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। সে মেয়েকে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। নানা হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এভাবে প্রায় দেড় বছর ধরে সিফা তদবিরালয়ে মধ্যে তালাবন্দি করে রাখে আমার মেয়েকে। আমি তার ভয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, উদ্ধারের পর তরুণী জানিয়েছে, কবিরাজ কমরুদ্দিন চিকিৎসার নামে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। তাকে দিনরাত ঘরের ভেতর তালা দিয়ে আটকে রাখত। কোথাও বের হতে দিত না। স¤প্রতি কমরুদ্দিন ভ‚য়া বিয়ের কাগজ তৈরি করে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিল।
সিফা তদবিরালয়ের আশপাশে বসবাসকারী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কমরুদ্দিনের সিফা তদবিরালয়ে মূলত সুন্দরী তরুণী-যুবতীদের আনাগোনাই বেশি ছিল। এর আগে সে পলি নামে একটা মেয়েকেও এভাবে তার বাসায় আটকে রেখেছিল।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামিম মূসা বলেন, গতকাল তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ