নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সর্ব শেষ খেলা পাঁচ টেস্টেই হার। তারমধ্যে ঘরের মাঠে হার আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। এসব ম্যাচে হারের ধরণও ছিল বড় দৃষ্টিকটু। সাদা পোশাকে বাংলাদেশ যেন বড়ই রুগ্ন। দেশের বাইরে টেস্টে সময়টা আরো বাজে বাংলাদেশের। হেরেছে টানা আট ম্যাচে, যর ছয়টিতেই ইনিংস ব্যবধানে। সেই নড়বড়ে বর্তমানের সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে এক অতীতও। যা সামনে এসেছে আশু প্রতিপক্ষের নাম পাকিস্তান বলেই। প্রথম দফা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আসার পর দ্বিতীয় দফা টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে গেছে বাংলাদেশ। আজ থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে এই দফায় দুই দলের টেস্ট ম্যাচ। যার প্রথমটিতে নামার আগে টানা হারের এই গøানি দ‚র করার আশা জানিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। খেলা শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়।
সবশেষ সিরিজে ভারতে দুই টেস্টই তিন দিনে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই স্বাগতিকরা জিতেছিল ইনিংস ব্যবধানে। মুমিনুলের দলের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। নিবেদনে ঘাটতি থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রস্তুতির ঘাটতি ভারতে বেশ ভুগিয়েছিল দলকে। এবারও আদর্শ প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স হারের বৃত্ত ভাঙার আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে অধিনায়ককে, ‘দেখুন এক সময় না এক সময় তো (হারের ধারা) ভাঙতেই হবে। (হারের) এই বৃত্তটা ভাঙতে সবাই প্রস্তুত। খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে সবাই। সেদিক থেকে আমরা আশাবাদী ম্যাচটি নিয়ে।’
২০১৭ সালে গল টেস্টে জেতার পর থেকে হারের চক্রে পড়ে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরে হেরেছে দুটি করে টেস্ট। ঘরের মাঠে সব শেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে হারিয়েছে পাকিস্তান। আর বাংলাদেশ ভারতে গিয়ে হেরে ফিরেছে বাজেভাবে। ফর্ম, কন্ডিশন আর খেলোয়াড়দের তুলনা করলে দুই দলের অবস্থা বিপরীতমুখী। দেশের বাইরে দলের মতো ব্যক্তিগতভাবে সময় ভালো যাচ্ছে না মুমিনুলের। সবশেষ ১৫ ম্যাচে করেছেন কেবল ১২০ রান, নেই কোনো ফিফটি। বাংলাদেশও ধুঁকছে প্রতিপক্ষের মাঠে। অধিনায়কের নিজের ও দলের লক্ষ্য একই, দেশের বাইরে ভালো করা, ‘চেষ্টা করছি এই জিনিসটি এখান থেকে শুরু করার জন্য। সব মিলিয়ে আমরা খুব মনোযোগী আছি। আশা করছি, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব।’
এই অবস্থাতেও দেয়ালে পিঠ টেকে যাওয়া পরিস্থিতি ঠেলে সরাতে মরিয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দেখেন, একটা সময় না একটা সময় এই টানা হারের বৃত্ত ভাঙ্গতে হবে। আমরা এই ম্যাচটা নিয়ে আশাবাদী। দেশের বাইরে টেস্ট আমরা এতটা ভালো খেলতে পারি না। আমরা নিজেদের উন্নতির দিকে মনোযোগী এবং আমরা ভালো খেলতে চাই।’
রাওয়ালপিন্ডিতে এর আগে কখনোই টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাঠে ১৬ বছর আগে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল দল। কন্ডিশনটা তাই একটু অচেনা। প্রচন্ড শীতের সঙ্গে উইকেট নিয়েও আছে অস্বস্তি। তবে অধিনায়ক এসব ঘাটতি আড়াল করেই নিজেদের মানসিকভাবে শক্তি রাখতে চাইলেন, ‘যে দেশে যাবেন সেদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। তো, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমার মনে হয় যে, কন্ডিশনটা খুব ভালো, একটু ঠান্ডা আছে তবে সেটা ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারব।’
গত কয়েকটি সিরিজ থেকেই পুরো শক্তি নিয়ে নামতে পারছে না বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞায় নেই সাকিব আল হাসান। ভারতে ব্যক্তিগত কারণে যাননি তামিম ইকবাল। পাকিস্তান সফর তামিম ফিরলেও এখানে নিরাপত্তা শঙ্কায় নেই মুশফিকুর রহিম। সেরা খেলোয়াড়দের না থাকার ঘাটতি স্বীকার করে মুমিনুল অন্যদের সুযোগটাও দেখছেন বড় করে। যদি ব্যাটে-বলে মিলে যায়, তবে ভালো কিছুই দিতে পারে ‘অচেনা’ রাওয়ালপিন্ডি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।