Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আটকাবস্থায় ছয় মাস পার

জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ নেতারা জেলেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

জম্মু ও কাশ্মিরের মূলধারার শীর্ষ নেতা ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) ড. ফারুক আব্দুল্লাহ এবং ওমর আব্দুল্লাহ এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) মেহবুবা মুফতির আটকাবস্থার ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে মঙ্গলবার। তবে শিগগিরই মোদি সরকার তাদের ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। তবে ধাপে ধাপে মুক্তি দেয়ার নীতির অংশ হিসেবে ওই দিন আরো দুজন পরিচিত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসন এই মুহূর্তে এনসি প্রেসিডেন্ট এবং শ্রীনগরের এমপি ড. আব্দুল্লাহর মামলা নিয়ে ভাবছে না। পাবলিক সেফটি অ্যাক্টের (পিএসএ) অধীনে ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো তার আটকাদেশ তিন মাস বাড়ানো হয়। ৫ আগস্ট পাঁচ বারের এই মুখ্যমন্ত্রীকে তার বাড়িতে আটক করা হয় এবং তার বাড়িটিকে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে যে, স্বরাষ্ট্র দফতর এবং ম্যাজিস্ট্রেটরা এনসি ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওমর আব্দুল্লাহ এবং পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতির মামলা পর্যালোচনার কোন প্রক্রিয়া শুরু করেনি। সাবেক এই দুই মুখ্যমন্ত্রীকে ১০৭ ও ১৫১ ধারার অধীনে দায়ের করা মামলায় আলাদা সাব-জেলে রাখা হয়েছে।

এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন যে, ১৫১ ও ১০৭ ধারার অধীনে আটক ব্যক্তিকে মামলা পর্যবেক্ষণ ছাড়াই এক বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়। এ ধরনের মামলায় মুক্তির বিষয়টি স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে, যিনি স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।

ইলতিজা মুফতির প্রতিক্রিয়া : মায়ের দীর্ঘসময় ধরে আটক থাকার বিষয়টি নিয়ে মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি বলেছেন, “সাবেক নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে কোন গণতান্ত্রিক দেশে অনির্দিষ্টকাল ধরে আটকে রাখা যায় না। কিন্তু যখন নয়া বছর বয়সী শিশুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দেয়া হচ্ছে, তখন এটাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকে না”।

মায়ের মুক্তির জন্য আদালতের দ্বারস্থ না হওয়ার জন্য পারিবারিকভাবে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে ব্যাপারে ইলতিজা বলেন: “কোন আদালতের কথা বলছেন? যে আদালত কাশ্মিরের ব্যাপারে চোখ কান বন্ধ করে রেখেছে, সেটা? কাশ্মির আর এর মানুষদের থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে আদালতের এই সাহস নেই যে, ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকা ইন্টারনেট চালুর জন্য তারা ভারত সরকারকে নির্দেশ দেয়”।

উপত্যকার ব্যবসায়ীর মুক্তি : এদিকে, উপত্যকার পরিচিত ব্যবসায়ী শাকিল কালান্দারকে শ্রীনগরের সেন্ট্রাল জেলে ছয় মাস আটক রাখার পর মুক্তি দেয়া হয়েছে। ২০১০-১১ সালে জম্মু ও কাশ্মিরে কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়নের জন্য অর্থনীতিবিদ সি রাঙ্গারাজানের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন কালান্দার। সূত্র : দ্য হিন্দু ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছয়মাস

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ