পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা সড়কে হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের বাড্ডা ইউলুপের নীচের আইল্যান্ড ও স্টিলের ব্যারিয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই ভাঙা আইল্যান্ড দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে বাস, রিকশা, ভ্যান, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। রাজধানীর একটি ব্যস্ত সড়কের মিডল্যান্ড ব্যারিয়ার কারা কখন কিভাবে ভাঙল তা কেউ জানে না। ভাঙা আইল্যান্ডটি দিয়ে উল্টোপথে যানবাহন চলাচল করলেও পুলিশ তা দেখেও না দেখার ভান করছে। কর্তব্যরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট জানান, নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে কে বা কারা আইল্যান্ড ও ব্যারিয়ার ভেঙে ফেলেছে। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি আইল্যান্ডটির ফাঁক জায়গা বন্ধ করে দেয়া হবে। সিটি কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে। তারা না করলে অস্থায়ী পদ্ধতিতে পুলিশই ওটা বন্ধ করে দিবে, যাতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলতে না পারে।
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)।
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুনে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তীতে সময় বাড়িয়ে তা ২০১৭ সালের জুন মাস নির্ধারণ করা হয়। এরপর জুন পেরিয়ে ওই বছরের ডিসেম্বর এবং তারপর ২০১৮ সালের শেষের দিকে এটি খুলে দেয়া হয়। চালুর পর থেকেই এর সুফল পেতে শুরু করে রাজধানীবাসী। ইউলুপের সুবাদে বাড্ডা এলাকার যানজট অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু ইউলুপের নীচে আইল্যান্ড কাটা পেয়ে গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে তাতে ইউলুপের সুবিধা অনেকটাই বিঘিœত হতে শুরু করেছে। অনেক গাড়ি চালকই ইউলুপে না উঠে নীচ দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন। এতে করে ইউলুপের নীচে বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন রাজধানীর বাড্ডা বিশ্বরোডের উপরদিয়ে নির্মিত ইউলুপের উপর থেকে দেখা গেছে, ইউলুপ থেকে ১০/১৫ গজ দক্ষিণের মিডল্যান্ড ব্যারিয়ারটি কাটা। এই কটা অংশদিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, হিউমেনহলার, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন রংসাইড দিয়ে সড়ক পরিবর্তন করছে। সায়েদাবাদ থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে যানবাহণের নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য এই ইউলুপটি করা হলেও এখন এর সুফল পাচ্ছেন না এই সড়কটি ব্যবহারকারীরা।
ছালছাবিল পরিবহণের ড্রাইভার আলমগীর হোসেন বলেন, এই ইউলুপটি হওয়ার আগে আমরা শুধু মাত্র রামপুরা ব্রীজ থেকে বাড্ডা নতুন রাস্তার মোড় পরাপর হতেই সময় লাগতো অন্তত আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট। যা এখন সর্বচ্চো ১০ মিনিটেই পারাপার হওয়া যায়। তিনি বলেন, ইউলুপের নীচের মিডল্যান্ড ব্যারিয়ারটি কে বা কারা কেটে দিয়েছে। যে কারণে এখন আবার এই সড়কটি দিয়ে নির্বিঘেœ যাতায়াত করা যাচ্ছে না। যখন তখন এই কাটা অংশ দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাস্তা পরিবর্তন করছে কিংবা রিকশা, ভ্যান গাড়ি হুটহাট করে ঢুকে যাচ্ছে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
কাটা অংশ দিয়ে পার হওয়ার জন্য ইউলুপের নীচের রাস্তায় উল্টো পথে যাচ্ছিলেন, জাফর শেখ নামের একজন ভ্যাট চালক। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন উল্টো পথে রাস্তা পরিবর্তন করতে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কাটা অংশ দিয়ে পার হতে পারলে আমার ২০ মিনিটের রাস্তা বেঁচে যাবে। সাথে কষ্টও কম হবে। তাই পার হচ্ছি। এভাবে উল্টো পতে চললে, যে কোন সময় বড় ধরণে বিপদ হতে পারে কিংবা জীবনও চলে যেতে পারে। এছাড়া এটা অনৈতিক কাজও এর জবাবে তিনি বলেন, জীবন মরণ আল্লাহর হাতে আমাদের কি করার আছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।