Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে সুদান!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:২১ পিএম

উগান্ডায় ইসরাইল ও সুদানের নেতাদের বৈঠকের পর সুদান প্রথমবারের মতো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয়েছে বলে জানায় ইসরাইল। গতকাল সোমবার উগান্ডার এংটেবীতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়।
ইসরাইলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার লক্ষে সহযোগিতা শুরুর বিষয়ে দুই দেশই একমত।
এক টুইট বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা এমন সহযোগিতা শুরু করতে সম্মত হয়েছি যা উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে।
যদিও সুদানের তথ্যমন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র ফয়সাল সালিহ এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই বলে রয়টার্সকে বলেছেন। এ বিষয়ে পরিষ্কার হতে তারা বুরহানের দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। Ñখবর আরব নিউজের
ফিলিস্তিনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সোমবারের বৈঠককে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের পিছনে ছুরিকাঘাত’ বলে নিন্দা করেছেন।
ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন (পিএলও) এক বিবৃতিতে জানায়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনকে ডুবানো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখন আরব অঞ্চলের শান্তি উদ্যোগ থেকে সরে যাওয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত।
যেখানে আরব জাতিগুলো ১৯৬৭ সালে চুক্তি করেছে যে, ইসরাইলকে কোন স্বীকৃতি নয়, ইসরাইলের কোন শান্তি নয় এবং ইসরাইলের সাথে কোন আলোচনা নয় সেখানে কিভাবে সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।
বার্তা সংস্থা এপি সুদানের এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই বৈঠকটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমন্বয় হয়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা’ তালিকা থেকে সুদানকে সরিয়ে দেওয়ারও ছিল।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সুদানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম ঘান্দুর বলেছিলেন, তার দেশের উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।
তবে, সুদানের দীর্ঘকালীন শাসক ওমর আল-বশিরকে যেহেতু গত বছর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আবার খার্তুম থেকে ইরান নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। ফলে ইসরালের এখন আর তেমন কোনো হুমকি নেই। আল জাজিরা।
সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা মিলে গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছে সুদান সার্বভৌম পরিষদ, যার প্রধান হলেন আর্মি জেনারেল বুরহান।
গত বছর দীর্ঘসময়ের একনায়ক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সামরিক-বেসামরিক মিলে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে এই সার্বভৌম কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারিত্ব ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসরাইলকে বর্জনে আরব দেশগুলোর সঙ্গে বশীরের নেতৃত্বাধীন সুদানও ছিল।
১৯৬৭ সালে আরব নেতারা সুদানের রাজধানী খার্তুমে বৈঠক করে ‘তিনটি না’ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে, ইসরাইলকে স্বীকৃতি, দেশটির সঙ্গে আলোচনা কিংবা শান্তি প্রত্যাখ্যান। মিসর ও জর্ডান অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দিলেও বহু আরব দেশ সেই প্রক্রিয়া থেকে দূরে রয়েছে।



 

Show all comments
  • jack ali ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম says : 0
    May Allah [SWT] destroy enemy of Islam আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান .....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ