পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতুতে ২২তম স্প্যান বসানোর ১০ দিনের মাথায় বসানো হলো ২৩তম স্প্যান। এতে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩ হাজার ৪৫০ মিটার বা প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।
আজ রবিবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিয়ারের ওপর ২৩তম স্প্যান ‘৬-এ’ বসানো হয়। পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। সকাল ১০টার দিকে ১৫০ মিটার দীর্ঘ ‘৬-এ’ স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় ক্রেন। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন তারা।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৫টি স্প্যান। বাকি স্প্যানগুলো মার্চের মধ্যেই দেশে চলে আসবে। চলমান সিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসে প্রায় তিন বছর পর। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ২৩টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।
৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর পর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু তার পূর্ণাঙ্গ অবয়ব পাবে। এরই মধ্যে সেতুর সব কটি পিলার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আর নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
সেতুর দুই পারে দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালের জুলাইয়ে খুলে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।