মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের মূল ভূখন্ডে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের সব অফিসিয়াল শোরুম ও কর্পোরেট কার্যালয় বন্ধ করছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পর ১ ফেব্রæয়ারি শনিবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সতর্কতা ও শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে ৯ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত আমরা চীনে অবস্থিত অ্যাপলের কর্পোরেট অফিস, শোরুম ও যোগাযোগ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখছি।
সরকারি হিসাবে ইতোমধ্যেই দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু চীনের উহান শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটি প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করছে।
এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কের মধ্য গত সপ্তাহে দেশটিতে অ্যাপেলের তিনটি শোরুম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে চীনের অনেক কোম্পানি তার কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করতে এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক ভ্রমণ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে। সপ্তাহব্যাপী চন্দ্র নববর্ষের ছুটির পর স্বাভাবিকভাবে চীনে ব্যবসার কার্যক্রম শুরু হবে।
স্মার্টফোন বিক্রি ও উৎপাদনে ব্যাপক মাত্রায় চীনের ওপর নির্ভরশীল অ্যাপল। তাদের অনেক কারখানা দেশটির হুবেই প্রদেশে অবস্থিত। এগুলোর মধ্য এবি ইনবেভ ও জেনারেল মোটরস কোম্পানিও সেখানে অবস্থিত। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সেখানে সাময়িকভাবে ফোন উৎপাদন বন্ধ আছে।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কর্মীদের কথা মাথায় রেখে চীনে সাময়িক সময়ের জন্য সব অফিস বন্ধ করে দিচ্ছে মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল। এর আগে চীনে একটি স্টোর বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল।
একই সঙ্গে চীন ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু গুগল নয়, আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই চীনে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনছে বা সাময়িক সময়ের জন্য সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এছাড়া উহান এবং চীনের অন্যান্য শহরে যেখানে নিজেদের কর্মীরা রয়েছে তাদের মধ্যে কেয়ার কিট সরবরাহ করছে অ্যাপল। অ্যাপল জানিয়েছে, চীনে তাদের ভোক্তা সংখ্যা কমে গেছে। লোকজন এখন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। এছাড়া কর্মীদের এই ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকায় তারা স্টোর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
অপরদিকে অপ্রয়োজনে চীন ভ্রমণে কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিজেদের কর্মীদের ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে যেসব কর্মী বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন তাদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে বলেছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বলেন, আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
চীনে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া আরও এক হাজার ৭শ’ জন নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।