Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সকাল সাড়ে ১১ টায় পৌঁছানোর কথা উহানের বিশেষ ফ্লাইট, ফিরছেন ৩১২ জন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:০৩ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ৩৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটির শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও সেটি ফিরে আসেনি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (শনিবার সকাল ৯টা ৪০) বিশেষ ফ্লাইটটি আসেনি। পাসপোর্ট হাতে না থাকাসহ নানা সমস্যায় বিশেষ ফ্লাইটটি ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। আর বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরেত দেরি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এস এম আলমগীর হোসেন (শনিবার সকাল ৯টা ৪০) ইনকিলাবকে জানান, বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সকাল সোয়া ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওই ফ্লাইটে মোট কতজন আসছেন-এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ৩১২ জন আসবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে পাসপোর্ট সবার কাছে না থাকায় ফ্লাইটটি ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা হজ ক্যাম্পে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের অর্ধশতাধিক সদস্য ফেরত আসা নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য সারারাত জেগে বলতে গেলে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

এর আগে আশকোনা হজ ক্যাম্পে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক হোসেন শনিবার ভোর ৬টায় জানান, ‘সকাল ৯টার আগে ফ্লাইটটি আসছে না। এখন পর্যন্ত উহান থেকে ফ্লাইটটি রওনা দেয়নি। আমরা আশকোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষা করছি।’

আশকোনা হাজি ক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে, চীনফেরত যাত্রীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আশকোনা হাজি ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্পের দেয়ালে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ নির্দেশনা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে-‘আশকোনা হজ কাম্পের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় মোট সাতটি ডরমিটরিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরুষদের তৃতীয় তলায় ডরমিটরি ৫, ৬, ৭ ও ৮ এবং চতুর্থ তলায় ডরমিটরি নম্বর ১০ ও ১১-তে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘সকল নারী ও তাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের চতুর্থ তলার ডরমিটরি নম্বর ১২-তে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রদর্শিত তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেককে নিজ ডরমিটরির বিছানা দেখে সেখানে অবস্থানের অনুরোধ জানানো হলো। প্রত্যেক ডরমিটরি সংলগ্ন বাথরুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। মেডিকেল সেন্টারের জন্য দ্বিতীয় তলায় খোঁজ করুন।’

চীন থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের কারও মাধ্যমে যেন করোনাভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য তাদেরকে হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রাখা হবে। সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ অন্যরা নিজেরা উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

হজ ক্যাম্পে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা শাহনীলা ফেরদৌসী, উপ-পরিচালক ডা. তাহমিনা, সহ-পরিচালক ডা. হাফিজুল ইসলাম, পরামর্শক ডা. নাসির আহমেদ খান ও ডা. মুশতাক হোসেন, আইইডিসিআরে ডা. রায়হান শরীফ, ডা. অনুপম সরকার, এফইটিপি পরামর্শক ডা. মাসুম বিল্লাহ এবং হজ ক্যাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের সেবা দেয়ার জন্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ