গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জরিপ সিটি করপোরেশনের গোটা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকালে ঢাকা দক্ষিণের ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের গোপীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেছেন যে, এখানে তাদের দুই মেয়র প্রার্থী জয়লাভ করবে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে ২৮ ডিসেম্বর একইভাবে সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেব নির্বাচন নিয়ে একটা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন। সাধারণত: যারা জ্যোতিষ তারা এই ধরনের ভবিষ্যত বাণী করে থাকেন। আমরা মনে করি, তিনি (সজীব ওয়াজেদ জয়) ভোটের আগে এই ধরনের যে সব ভবিষ্যত বাণী করছেন সেগুলো গোটা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। যখন সরকারি দলের বড় নেতা বা কর্মকর্তা বা কেউ এই ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে যখন এই ধরনের কথা বলেন তখন ডেফিনেটলি সেটা সেই গোটা নির্বাচনের ব্যবস্থার ওপরই প্রভাব পড়ে নির্বাচন কমিশন যারা ভোট গ্রহণ করবেন তাদের সকলের ওপরেই।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের এরকম জরিপের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আমার মনে হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা করা উচিত যে, তাকে (সজীব ওয়াজেদ জয়) তার উপদেষ্টা হিসেবে রাখবেন নাকী ‘রাজ জ্যোতিষী’ হিসেবে তাকে নতুন নিয়োগ দেবেন।
এর আগে বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বিএনপি মহাসচিবের সাথে দেখা তার নির্বাচনী প্রস্তুতির সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এরপর বিকালে ৪টায় মহাসচিব গোপীবাগে মরহুম মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বাসায় আসেন। সেখানে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাকের কাছ থেকে তার নির্বাচনী প্রস্তুতিও কথা জানেন। পরে মহাসচিব মরহুম সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ইসমত আরা খোকার সঙ্গেও দেখা করেন।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন যা দেখেছি, সরকারের কর্মকর্তাদের যে সমস্ত কথা শুনছি, সরকারি দলের নেতৃবর্গ যে সমস্ত কথা বলছেন তাতে করে এটা স্পষ্ট যে, সরকার চেষ্টা করছে পুরো নির্বাচনটাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়ার জন্য। ইতোমধ্যে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন যে, প্রত্যেকটি কেন্দ্র তারা পাহারা দেবেন এবং তারা নিয়ন্ত্রণ করবেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবর্গ তাদের কর্মীদের যেরকম নিদের্শনা দিচ্ছেন যে, যেকোনো মূল্যে তাদের কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারপরেও আমরা যেটা বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করে এসেছি যে, ঢাকা শহরের মানুষ ঢাকাবাসী দুই করপোরেশ নেই তারা তৈরি হয়ে আছেন যদি তারা ভোট দেয়ার ন্যূনতম সুযোগ পান তাহলে তারা অবশ্যই দক্ষিণে ইশরাক ও উত্তরে তাবিথকে জয়যুক্ত করবেন ধানের শীষে।
ভোট কেন্দ্র যদি দখলের চেষ্টা হয় সেক্ষত্রে আপনারা কী করবেন প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি, আমাদের জনগণই যা কিছু করবার করবেন, জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন, জনগণই তাদের ভোটের অধিকার, সেই অধিকারকে নিশ্চিত করবেন।
এসময় ইশরাক হোসেন বলেন, আমি একটি কথায় বলবো, ভোট কেন্দ্র দখল হলে জনগণকে সাথে প্রতিহত করা হবে। আমার একটাই কথা, সোজা কথা।
এ সময়ে গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, রফিক শিকদারসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।