মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যদিও সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই, তবে ধারণা করা হয় প্রিন্স হ্যারির মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫-৪০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। অনেকেই মনে করেন, রাজপরিবার ত্যাগ করে সাধারণ জীবন বেছে নেয়ায় হ্যারি এবং মেগান আর্থিক সমস্যায় পড়তে চলেছেন। কিন্তু হ্যারি যে অর্থ পেয়েছেন এবং মেগান মার্কেলের নিজস্ব যে সম্পদ রয়েছে, তা ব্যবহার করে ভালভাবেই তারা জীবন-যাপন করতে পারবেন।
হ্যারি যদিও প্রচুর সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধার মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে উপাধি ত্যাগের পরেও তিনি এখনও ব্রিটিশ রাজ পরিবারের উল্লেখযোগ্য সদস্য। তিনি একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি এবং অকপটে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। হ্যারি সাধারণভাবেই থাকতে পছন্দ করতেন, যার ফলে সর্বস্তরের লোকের সাথে তিনি মিশতে পারতেন। সংক্ষেপে, তিনি তার মায়ের মতোই হয়েছেন। প্রিন্সেস ডায়ানার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও বিভিন্ন বিষয়ে নাটকীয় পদক্ষেপ নিয়ে ও নিজের পছন্দের পথে চলে বার বার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন।
হ্যারি সবসময় সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলেন। যার কারণে শেষ পর্যন্ত তার মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। হ্যারিও সে বিষয়ে চরম সোচ্চার ছিলেন। ২০০৭ সালে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি যখন ‘শুধুমাত্র হ্যারি’ ছিলেন, সেটিই ছিল তার জীবনের সবথেকে সুখী সময়। এখন যেহেতু তিনি স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য রাজপরিবার ত্যাগ করেছেন, তাকে পছন্দমতো উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নিতে হবে। তবে তার জন্য এটি কঠিন কোন বিষয় নয়। কারণ মূলধন হিসেবে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করার সুযোগ তার রয়েছে। ধারণা করা হয় ব্রিটিশ রানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি ডলার। তার বাবা প্রিন্স চার্লসের আনুমানিক সম্পদও প্রায় ৪০ কোটি ডলার। তিনি দু’জনেরই উত্তরাধিকার। হ্যারি তার সম্পদের বেশিরভাগই পেয়েছেন উত্তরাধিকার হিসেবে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের নিয়ম হচ্ছে সিনিয়র সদস্যরা কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।
প্রিন্স হ্যারি ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যারা এই গ্রহের অন্যতম ধনী পরিবার। ২০১৭ সালে জানানো হয়েছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। বাকিংহাম এবং উইন্ডসর প্রাসাদের মতো সম্পদের পাশাপাশি শিল্পের এক বিশাল সংগ্রহ, রাজকীয় অলঙ্কার এবং তাদের পরিচয় এ সবই সম্পদের অংশ। যদিও সম্পদগুলি ব্যক্তিগতভাবে পরিবারের মালিকানাধীন না (ব্রিটেনের রক্ষক হিসাবে তাদের অধীনে রাখা হয়েছে)। তবে পরিবারের সদস্যদের সবাই কিছু অংশের ব্যক্তিগত মালিকানা অর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, রানির ব্যক্তিগত সম্পদ প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়ানা যখন মারা যান, তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার, যার বেশিরভাগই বিবাহবিচ্ছেদের প্রিন্স চার্লসের কাছ থেকে পাওয়া (২ কোটি ২৫ লাখ ডলার)। তার সম্পদের মধ্যে স্টক, তহবিল, সমস্ত গহনা, পোশাক (তার বিখ্যাত বিয়ের পোশাক সহ) অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার সম্পদের বেশিরভাগ পেয়েছেন অবশ্যই হ্যারি এবং উইলিয়াম। বাকিটা পেয়েছেন তার পালিত সন্তানরা এবং তার বাটলার। বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের মতো হ্যারিও ডায়ানার কাছ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন, যা তার বয়স ৩০ বছর হওয়ার আগে পর্যন্ত একটি ট্রাস্টে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে তার গহনাও ছিল। যেমন মেগানের বাগদানের আংটিতে ব্যবহৃত হীরা এবং অ্যাকুয়ামেরিন আংটি যা মেগান তাদের বিয়ের সংবর্ধনায় পরেছিলেন।
যদিও হ্যারি ৩০ বছর বয়সে ডায়ানার কাছ থেকে তার উত্তরাধিকারের বেশিরভাগ অংশ পেয়েছিলেন, তবে ২৫ বছর বয়স থেকেই তিনি ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে লভ্যাংশ পাচ্ছেন। হ্যারি ও উইলিয়াম এবং তাদের পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য বিচক্ষণ ডায়ানা প্রাথমিকভাবে ১ লাখ পাউন্ড দিয়ে একটি তহবিলও গঠন করেছিলেন, যা থেকে প্রাপ্ত সুদও তাদের আয়ে যুক্ত হয়ছে। যুদিও তহবিলের বর্তমান মূল্য কত তা জানা যায়নি, তবে মেগান এবং কেটও এই তহবিল থেকে অর্থ নিতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।