Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই আসামির স্বীকারোক্তি ধর্ষণের আলামত মিলেছে

ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাহাড়ি বন এলাকায় বেড়াতে গিয়ে তিন স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামিকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। এদিকে ধর্ষিত তিন স্কুলছাত্রীসহ চারজন আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন। ধর্ষিত তিন স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

গতকাল বিকেলে গ্রেফতার আসামি সবুজ ওরফে (বাবুল), ইউসুফ আলী খান ও সুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমারের আদালতে আসামি ইউসুফ আলী খান ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের আদালতে আসামি সবুজ ওরফে (বাবুল) স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে এই দুই আসামিসহ অন্য আসামি সুজনকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন আদালত। এর আগে গত সোমবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়। ধর্ষণের সাথে আরো বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘাটাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রæতই সকল আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। ভিকটিমরা সবাই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
এ ঘটনায় গত সোমবার এক মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য ভিকটিমদের আদালতে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত রোববার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক দুপুর দেড়টায় তারা ঝড়কা এলাকায় যায়। সেখানে তাদের সাথে যোগ দেয় বন্ধু হৃদয় ও শাহীন। পরে তারা আশিক নামে এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে সাতকুয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরতে যায়।
এ সময় ৫-৭ জন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে হৃদয়, শাহীন ও আশিককে মারধর করে তিনজনকে ধর্ষণ করে এবং অপরকে ভাগ্নির মতো দেখা যায় বলে তাকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রেখে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই চার ছাত্রী সেখানে তাদের একজনের নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। অভিভাবকরা পুলিশকে জানালে পুলিশ চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্কুলছাত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ