বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পানিবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দুইপাশে প্রয়োজনীয় বাড়তি জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়াকওয়ে নির্মাণের নিদের্শনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনানুযায়ি খালটির দৈর্ঘ্য হবে আনুমানিক ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৬৫ ফুট। এই নতুন খালের দুপাশে প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া এ খালের দুপাশে থাকবে ২০ফুট করে সড়ক এবং নির্মাণ করা হবে ৬ ফুট করে ওয়াকওয়ে।
সিটি মেয়র আরও বলেন, এ খালটি হবে নয়নাভিরাম একটি খাল। যা দেশের অন্য কোথাও দেখা যাবে না। এখন বাকলিয়ার মানুষ অবসর বিনোদনের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যায়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তখন হবে উল্টো। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ ধুলিকণাবিহীন নির্মল বাতাস ও সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আসবে এখানেই। এ প্রকল্পটি হবে সেইরকম একটি সৌন্দর্যমন্ডিত প্রকল্প।
কাউন্সিলর হারুন উর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র জোবাইরা নার্গিস খান, কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মেয়র বলেন, এ নতুন খাল খননের জন্য অধিগ্রহণযোগ্য জমির পরিমাণ ২৫.১৬ একর। প্রস্তাবিত খালটি বহদ্দারহাট বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু হয়ে যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন শাহ আমানত সংযোগ সড়ক অতিক্রম করে নুরনগর হাউজিং- ওয়াইজের পাড়া মাজার- বলির হাট দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হবে। নতুন খাল খননের জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫৬ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।