বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের মধুখালী কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে গত ২০১৩/১৪ ও ২০১৪/১৫ অর্থ বছরে কৃষকদের ৫৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শষ্য মজুত রেখে ৮০% হারে ৬৬ জন কৃষকের মাঝে ঋণ বিতরন করা হয়। আর এই জমাকৃত শষ্য আত্মসাত করার কারনে মধুখালী শস্য গুদাম ঋণ প্রকল্পের ৬জনের ৬ বছরের সাজা দিয়েছে ফরিদপুর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান। আর এ রায় ঘোষনার সময় অভিযুক্ত আসামী ৬জন উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মধুখালী শস্য গুদাম ঋণ প্রকল্প এর গুদাম রক্ষক মোঃ মোতাহার হোসেন মিয়া, সেক্রেটারী মোঃ শাহ জালাল(কানু), সদস্য মোঃ সোহরাব শেখ, মোঃ হাসেম মল্লিক, মোঃ মহসিন শরীফ, ও মোঃ সাখায়াত মোল্লা। পরে তাদের কে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় প্রদান করা হয়। স্পেশাল জজ আদালতের মামলা নং- ০৬/১৭। মামলটি ২৫ নভম্বের ২০১৪ সালে তৎকালিন মধুখালী কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ইউনুছ আলী মিয়া বাদি হয়ে মধুখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে ফরিদপুর দুদুকের উপ-সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে ৪০৮/১০৯ ধারায় চার্জশীট দাখিল করেন।
দুদুকের আইনজীবি বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. মজিবর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় মামলায় প্রত্যেককে ৬ বছরের সাজা প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে ৫৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, এই মামলায় বাদি আট জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। আট আসামীর মধ্যে একজন মৃত্যু বরন করেন এবং একজন আসামী পলাতক রয়েছে বাকি ছয় আসামীর উপস্থিততে এই রায় প্রদান করে আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।