পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাতে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের বনের ভিতর সাতকুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে এক স্কুলছাত্রীর বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তারা সকলেই ঘাটাইল এস ই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ঘাটাইল এস ই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল ছিল। চার স্কুলছাত্রী সকালে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু তারা স্কুলে না গিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে দুই ছেলে বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে নিয়ে উপজেলার সাতকুয়া গ্রামে ঘাটাইল সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জ এলকায় বেড়াতে যায়। দুপুর দুইটার দিকে এলাকার ৫/৬ জন অপরিচিত যুবক চার স্কুলছাত্রীসহ তাদের বন্ধু ও অটোচালককে আটক করে। যুবকরা দুই বন্ধু হৃদয়, শাহীন ও অটোচালক আশিককে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। পরে যুবকরা তিন স্কুলছাত্রীকে বনের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যায়। ছাত্রীদের একজন যুবকদের কাছে মা মারা গেছে বলে অনুনয় বিনয় করলে যুবকরা তাকে ধর্ষণ না করেই ছেড়ে দেয়।
এদিকে ছাত্রীরা সঠিক সময় বাড়িতে না আসায় অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে এবং পরে বিষয়টি ঘাটাইল থানার পুলিশকে মৌখিকভাবে জানায়। এক পর্যায়ে অভিভাবকদের একজনের কাছে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় আপনার মেয়ে খারাপ কাজ করে ধরা খাইছে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ছাত্রীদের উদ্ধারে নামে। পরে রোববার গভীর রাতে উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকার সাতকুয়া গ্রাম থেকে চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম বলতে রাজি হয়নি।
ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।