পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাকশালের মতোই দেশে ১১ বছর ধরে একদলীয় শাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসনের চিন্তা-ধ্যান-ধারণা এখন চলেছে। ওই সময়ে যেমন কোনো রাজনীতি ছিল না, এখনো দেশে কোনো রাজনীতি নাই। এখন কোনো কার্যকর সংসদ নাই, আইনের শাসন নাই, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। গতকাল সংসদে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিবসে বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালে সংবিধান সংশোধন করে আনুষ্ঠানিকভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল। এখন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং সুকৌশল সেই একই ব্যবস্থা অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছে। গণতন্ত্রের আবরণে দেশে স্বৈরতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবই তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রবর্তনের পটভ‚মি তুলে ধরে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, সেদিন সংসদে বিনা বির্তকে, বিনা আলোচনায় সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিল মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে পাস করিয়ে দেশের তখনকার প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের পদে শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। এই দলের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশে কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ অর্থ্যাৎ বাকশাল। এইদিনে বাকশালের জন্মদিন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই (বাকশাল) ব্যবস্থা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করেছে। সেই গণতন্ত্র তারা ফিরে পেতে চায়। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন বিএনপির ওপর জনগণ অর্পন করেছে। একদলীয় শাসন থেকে শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং পরবর্তিতে দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে গণতন্ত্রের পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হয়েছিল। আজকে সেই গণতন্ত্র আমাদের নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু ও শওকত মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।