পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীনের করোনাভাইরাস নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ। ইতোমধ্যেই এই ভাইরাসে দাঁড়িয়েছে ৪১। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩০০। চীনের অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান শহরে আটকে পড়েছেন অন্তত ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অনেকেই দেশে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, উহানের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঘরে তাদের মজুতকৃত খাবারও ফুরিয়ে আসছে। ফলে খুব শীঘ্রই তারা খাবারের সংকটে পড়বেন। এদিকে, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের কারও সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়নি। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসিতে হটলাইন খোলা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, বেইজিং এ আমাদের অ্যাম্বাসিতে হটলাইন খোলা হয়েছে (৮৬)-১৭৮০১১১৬০০৫। আমাদের কর্মকর্তা খায়রুল বাসার এবং আসিফ বাংলাদেশিদের করা ২৪৫ সদস্যের উইচ্যাট গ্রæপে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বিশেষ করে উহান শহরে সরকার কাউকেই বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না, সতর্কতাম‚লক ব্যবস্থা হিসেবে। বিচলিত না হয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে।
চীনের উহান শহরে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন। শহরের অধিবাসীদের শহর না ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভাইরাসটি যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য উহান শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে সব যাত্রীবাহী বিমান বাতিল করা হয়েছে। শহরের বাইরে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো চেকপয়েন্টের মাধ্যমে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ সৌরভ জানান, ভাইরাসটি যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য উহানের আশপাশের আরও ১০টি শহরেও একইভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ৫০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ শহরে আটকা পড়েছেন বলে জানান তিনি।
রাকিবিল ত‚র্য (২৩) নামে একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাহায্য চেয়ে জানান, দেড় বছর আগে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য উহানে যান। বর্তমানে তিনি মেকানিক্যাল অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করছেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চললেও তাকে ২৩ জানুয়ারি থেকে হোস্টেলে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো অন্তত আরও ১৪০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশি দূতাবাস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউই এখন পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু তাই না, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় আমাদের খাবারও ফুরিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীরা সবাই আতঙ্কিত এবং চিন্তিত। ত‚র্য আরো জানান, এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কেউ যাতে আক্রান্ত না হতে পারে সেজন্য এমন কঠোর সতর্কতা জারি হয়েছে। এখানে আমাদেরকে অনেক বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। কোথায় যাচ্ছি, কেনো যাচ্ছি, এসব কিছু লিখে রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর করে তবেই আমরা বাইরে যেতে পারছি। আবার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমরা কোনোভাবেই খাবার সংগ্রহ করতে পারছি না।
উহানে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা জানান, বেইজিংয়ে বাংলাদেশি দ‚তাবাসের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে কেবল কোনো সমস্যায় পড়লে যেনো তাদেরকে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।