নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) আয়োজন নিয়েই ছিল বড় শঙ্কা। ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে প্রাইম ব্যাংক চলে যাওয়ার পরই শঙ্কাটা তৈরি হয়। তাই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এগিয়ে আনার চিন্তা করেছিল বিসিবি। তবে অনেকটা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত আসে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিসিএল। পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে টাইগারদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। এর আগে গত দুই মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছে তারা। সেটাও টি-টোয়েন্টি সংস্করণের টুর্নামেন্ট ছিল। তাই লম্বা সংস্করণের ক্রিকেট থেকে অনেক দিন থেকেই বাইরে আছে তারা। দ্বিতীয় দফায় আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে গিয়েও কোন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই তাদের। তাদের লাল বলে খেলার ঘাটতিটা থাকছেই। বিসিএল খেলেই তার কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন টাইগাররা। টুর্নামেন্ট কমিটির সঙ্গে এক সভা শেষে সুজন জানালেন, ‘আসলে সবদিক চিন্তা করে...পাকিস্তান সফর নিয়ে আমাদের যেহেতু একটু ঝামেলা হলো। আমরা তিনভাগে পাকিস্তানে যাচ্ছি। টেস্টের আগে তো আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। মাত্রই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট খেললাম, আবার যদি ৫০ ওভারের ক্রিকেটও খেলি তাহলে আমাদের প্রস্তুতি ঠিকমতো হচ্ছে না। এরমধ্যে আমরা তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবো। (পাকিস্তানের বিপক্ষে) দুটি টেস্টের মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও একটি টেস্ট ম্যাচ আছে। ছেলেরা যদি এই সংস্করণে (বিসিএল) খেলতে পারে... ছোট হলেও টেস্টের আগে এই ম্যাচটি একটি ভালো প্রস্তুতি হবে।’
এছাড়া প্রাইম ব্যাংক চলে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে দায়িত্ব বিসিবিকেই নিতে হচ্ছে বলে জানালেন সুজন। তবে নতুন কেউ এলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলেও জানালেন তিনি, ‘আমরা তো চেষ্টা করছি, এখন সময় তো অনেক অল্প। তেমন হলে বিসিবিকে দায়িত্ব নিতে হবে দল চালানোর জন্য। যেহেতু এটা আমাদের কমিটমেন্ট এবং আমাদের টুর্নামেন্ট। বিসিবি যেমন এখন উত্তরাঞ্চল চালায়, এখন দক্ষিণাঞ্চলও চালাবো। আর এর মধ্যে যদি কোনো পৃষ্ঠপোষক আসতে চায় তাহলে তাদের স্বাগতম।’
প্রায় কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির অভাব সেই ম্যাচে ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। আগামী দিনগুলোতে গোলাপি বলে আরও ম্যাচ খেলতে হতে পারে। এই ভাবনা থেকে বিসিএলের ফাইনাল দিবা-রাত্রির করার একটি প্রস্তাব এসেছে। দাবি উঠেছে ম্যাচটি সরাসরি স¤প্রচার করার। মধ্যাঞ্চল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান সমন্বয়ক ও ওয়ালটন গ্রæপের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, ফাইনাল টেলিভিশনে সরাসরি স¤প্রচারের দাবি তুলেছেন সভায়, ‘তারা চেষ্টা করছেন যে, এবারের বিসিএলের ফাইনাল ম্যাচ টিভিতে দেখানো যায় কী না। আরেকটা প্রস্তাব এসেছে যে, ফাইনালটা গোলাপি বলে হতে পারে কী না, মানে দিবা-রাত্রির। এটার ব্যাপারে ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেস করবে, যদি ওদের কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে হয়তো দিবা-রাত্রির ম্যাচ হতে পারে, গোলাপি বলে হতে পারে ফাইনালটা।’
এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমের বিসিএলের ফাইনাল হয়েছিল গোলাপি বলে। সেটিই বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একমাত্র দিবা-রাত্রির বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।