পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তার দেশ কখনো বিভক্ত হবে না। ইস্তাম্বুলের প্রধান বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার একদিন পর তিনি এ কথা বললেন। ওই হামলায় ৪১ জন নিহত ও প্রায় ২৩৯ জন আহত হয়।
এরদোগান বলেন, আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তাদের এ চক্রান্ত সফল হবে না, কারণ জাতি জানে কারা এর পেছনে রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের শহীদদের কখনো ভুলবো না। তুরস্কের কর্মকর্তারা জানান, ইরাকী আইএস জিহাদিদের দ্বারা তিনটি হামলার নমুনা পাওয়া গেছে। যদিও কেউই এখন পর্যন্ত এ হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, হামলাকারীদের শণাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তারা একটি ট্যাক্সিতে করে বিমানবন্দরে এসেছিলো এবং সেখানে থেকে যায়। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলাকারীরা বিমানবন্দরের প্রবেশ পথের টার্মিনালে উন্মুক্ত গুলিবর্ষণ করে। সেখানে নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এরপর তারা রাত ১০ টার দিকে একে একে আত্মঘাতী হামলা চালায়। ক্যামেরা ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে আরও দেখা যায়, তারা প্রবেশের সময় টার্মিনাল ভবন ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত করে দেয়। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভবনটি ধসে পড়ার আগে কালো পোশাক পরিহিত এক হামলাকারী দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে, এ সময় পুলিশের বুলেটের মুখে সে নিজেকে বোমায় উড়িয়ে দেয়। এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানান, নিহতদের বেশিরভাগই তুরস্কের নাগরিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের আগে টার্মিনাল ভবনে ঢোকার সময় এক হামলাকারী নিরবচ্ছিন্নভাবে গুলি চালাতে থাকে। সে কালো কাপড় পড়া ছিলো, কিন্তু তার মুখ আবৃত ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটক ৭৭ বছর বয়সী পল রোজ জানান, তার থেকে ৫০ মিটার দূরে ছিলো ওই হামলাকারী। তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কেপটাউন যাচ্ছিলেন। দুটি বিস্ফোরণ ঘটে খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে। এ সময় ওই হামলাকারী গুলিবর্ষণ বন্ধ করে দেয় বলে রোজ জানান। এর আগে, জুনের প্রথমদিকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পুলিশের যান লক্ষ্য করে একই ধরনের হামলা চালানো হয়েছিল। তখন ১১ জন নিহত হয়েছিল। আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।