মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানি হওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য পুনরায় সেসব দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণার পর ১৫০ কন্টেইনারে করে ৩ হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন বর্জ্য ১৩ টি দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া।
গতবছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ কন্টেইনার বর্জ্য গেছে ফ্রান্সে, ৪২ কন্টেইনার যুক্তরাজ্যে, ১৭ কন্টেইনার যুক্তরাষ্ট্রে, ১১ টি কানাডায়, ১০ টি স্পেনে এবং বাদবাকি বর্জ্য হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, চীন, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং লিথুনিয়ায় গেছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী।
মালয়েশিয়া ‘বিশ্বের ময়লার ভাগাড়’ হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী ইয়েও বে ইন। এ বছরের মাঝামাঝিতে আরো ১১০ কন্টেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠানো হবে এবং এর মধ্যে ৬০ টি কন্টেইনার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, চীন প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার পর ২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়া হয়ে ওঠে এসব বর্জ্যরে অন্যতম ঠিকানা। লাইসেন্স ছাড়াই দেশটিতে গজিয়ে ওঠে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের (পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা) বেশকিছু কারখানা।
এরপর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ এসব বর্জ্য রপ্তানিতে জড়িত দেশগুলোকে চিহ্নিত করে এবং গতবছর হাজার হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য ফের সেইসব দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে ঘোষণা দেয়। সে সময় ভর্ৎসনার সুরে পরিবেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “যে কোনো উন্নত দেশের নাগরিকদের মত মালয়েশিয়ার নাগরিকদেরও টেকসই সম্পদ, বিশুদ্ধ পানি, বাতাস ও পরিবেশের অধিকার আছে।”
মালয়েশিয়া বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বর্জ্য চোরাচালান রোধ করা এবং ২শ’টি প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের পদক্ষেপও এরই মধ্যে নিয়েছে। তাছাড়া, যেসব বর্জ্য ফেরত দেওয়া হয়েছে সেগুলো রপ্তানি ও আমদানীকারকদের অর্থায়নেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন প্লাস্টিক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই মূলত বিভিন্ন চীনা প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ামুখী হয়েছে। এবং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক আমদানি করা হচ্ছে দেশটিতে।
যুক্তরাজ্যে যেসব প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠানো হচ্ছে সেগুলো দিয়ে কী করা হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব প্লাস্টিক আবার ঘুরেফিরে অন্য দেশেই যাবে। এগুলোর স্থান হতে পারে পোল্যান্ড অথবা ইন্দোনেশিয়ায়। কারণ, এ দেশ দুটিতেও ব্যাপকভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। যুক্তরাজ্য তার প্লাস্টিক বর্জ্যরে দুই-তৃতীয়াংশই বাইরের দেশে রফতানি করে থাকে।
তবে যুক্তরাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী নিশ্চিত করে বলেছেন, এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত আসার দায় একমাত্র সেই কোম্পানির যারা প্রথমে রফতানি করেছে।
মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, তারা নিকট ভবিষ্যতে আরও ১১০ কন্টেইনার ভর্তি প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠাতে সক্ষম হবেন। যার মধ্যে ৬০ কন্টেইনার প্লাস্টিক এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী ইও বি ইন বলেছেন, মালয়েশিয়া যাতে বিশ্বের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার ভাগাড়ে পরিণত না, সেজন্য যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্লাস্টিক বর্জ্যসহ সব ধরনের দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে।
রফতানিকারক দেশ ও আমদানি সংশ্লিষ্ট জাহাজ কর্তৃপক্ষকেই এসব কন্টেইনার ফেরতের খরচ বহন করতে হবে বলেও জানিয়েছে মালয়েশিয়া। এ বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এজন্য আমরা একটি কানাকড়িও খরচ বহন করব না। আমরা এটা দিতে বাধ্য নই।’
তবে মালয়েশিয়ায়ই প্রথম কোনো দেশ নয়, যারা প্লাস্টিক বর্জ্য সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। এর আগে ইন্দোনেশিয়া শত শত কন্টেইনার ভর্তি প্লাস্টিক বর্জ্য উৎস দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ফিলিপাইনও বিপুল পরিমাণ বর্জ্য কানাডাতে ফেরত পাঠিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।