পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পুলিশের উপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা নব্য জেএমবি’র সদস্য। জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে পুলিশের তৎপরতা বেশি থাকায় তারা পুলিশকে টার্গেট করে। পরে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তারা পুলিশের উপর হামলা করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।
গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল জানান, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শনির আখড়া থেকে মো. জামাল উদ্দিন রফিক ও মো. আনোয়ার হোসেন নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃরা নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং গুলিস্তান, মালিবাগ, সাইন্সল্যাবসহ ঢাকা শহরের পাঁচটি স্থানে পুলিশের উপর বোমা হামলা করেছিল। গ্রেফতার হওয়া রফিকই ওইসব বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।
তার নেতৃত্বে গত বছর ২৯ এপ্রিলে গুলিস্তানে, ২৬ মে মালিবাগে, ২৩ জুলাই পল্টন মোড়ে ও খামারবাড়ি এবং ৩১ আগস্ট সাইন্সল্যাব মোড়ে পুলিশের উপর বোমা হামলা করা হয়। পুলিশের উপর নিক্ষিপ্ত বোমাগুলো রফিক তার বাড়িতে তৈরি করেছিল। শুধু তাই নয়, রফিক নিজে ঢাকার চারটি স্থানে উপস্থিত থেকে হামলা করেছিল বলেও জানান মনিরুল।
তিনি জানান, রফিক খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে। আর আনোয়ার পেশা একজন ড্রাইভার ছিল। সে পোড়া মবিলের ব্যবসা করতো।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা কালো পোশাক পরিধান করে খেলনা অস্ত্র, বোমাসহ সুইসাইডাল ভেস্ট পরে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথাবার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে প্রচার করেছিলো। ভিডিওতে জামাল উদ্দিন রফিক, ফরিদ উদ্দিন রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর এবং আনোয়ার অংশগ্রহণ করেছিলো। পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়াসহ তাদের উগ্রবাদী সংগঠনের সক্ষমতা ও রিক্রুটমেন্ট ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে অনলাইনে ভিডিও ক্লিপ প্রচার করেছিলো।
মনিরুল আরো জানান, রাজধানীতে পুুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দু দফা অভিযানে ফরিদ উদ্দিন রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর, মেহেদী হাসান তামিম, মিশুক খানকে গ্রেফতার হয়। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়নগঞ্জ তক্কার মোড়ে রফিকের বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাজা বোমাসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়ছিলো।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে চায় প্রচার। পুলিশের উপর হামলা করলে প্রচারটা বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়া পুলিশের ওপর হামলা করলে জনমনে ভয়-ভীতিটা বেশি সৃষ্টি হবে। কারণ পুলিশ জনগণকে নিরাপত্তা দেবে। সেখানে পুলিশেই যদি অরক্ষিত হয় তাহলে জনগণকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে। এই জায়গায় তারা পুলিশের ওপর হামলার টার্গেট করেছিল। তাছাড়া হলি আর্টিসান হামলার পরে পুলিশের যে সক্ষমতা বেড়েছে, জঙ্গিদের যে নেটওয়ার্কিং গড়ে উঠেছিল তা বিপর্যস্ত-দুর্বল করে দেওয়ার কাজটি পুলিশই করেছিল। সেজন্য তারা পুলিশকেই টার্গেট করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।