পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রোববার আবারও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, ভারত যদি নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে হামলা চালানো অব্যাহত রাখে, তাহলে নীরব দর্শক হয়ে থাকাটা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হবে। ধারাবাহিক কিছু টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন। তিনি ভারতের প্রতি আহ্বান জানান যাতে ইউনাইটেড নেশান্স মিলিটারি অবজার্ভার গ্রুপ ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তানকে (ইউএনইমওজিআইপি) ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে আবারও মনে করিয়ে দেন যে, নয়াদিল্লী হয়তো ‘ফলস ফ্ল্যাগ অভিযান’ চালাতে পারে, কারণ ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে, যেটার মাত্রা ও তীব্রতা এখন আরও বেড়েছে। ইমরান খান টুইটে লিখেছেন, “আমি ভারত ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে এটা স্পষ্ট করে বলতে চায় ভারত যদি নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে সামরিক হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা অব্যাহত রাখে, তাহলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির নিরব দর্শক হয়ে থাকাটা পাকিস্তানের জন্য খুবই কঠিন হবে”। ইমরান খান বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে পশ্চিমি দেশগুলির কাছে বাণিজ্যিক স্বার্থ অনেক বেশি গুরুত্বপ‚র্ণ। ভারতের বিশাল বাজার হাতছাড়া করতে চায় না বলেই কাশ্মীরের ৮০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে কী ঘটছে, ভারতের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ পশ্চিমি দেশগুলি। আর এবার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা প্রসঙ্গে ভারতকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার ট্যুইটারে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে দিনের পর দিন হামলা চালাচ্ছে। ওই হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হামলার মাত্রা ক্রমে বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত এ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা। নিয়ন্ত্রণরেখার অন্যদিকে তারা যাতে হামলা না চালায় তা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা উচিত। ইমরানের দাবি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ইমরানের কথায়, আমি বলেছিলাম, ভারত এক পা এগোলে, আমরা দু›পা এগোতে প্রস্তুত। কিন্তু তারপরই জানতে পারলাম আরএসএস মতাদর্শের কারণে ভারত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করছে না। জিও নিউজ, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।