Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেতু আছে সড়ক নেই

কুমারখালীর চরসাদীপুরে চরম জনদুর্ভোগ

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সেতু তৈরি করা হলেও সড়ক তৈরি করা হয়নি। যার কারণে জনগণের দুর্ভোগ রয়েই গেছে। কুষ্টিয়ার চরসাদীপুরে সেতু আছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক তৈরি হয়নি। ফলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এ দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সাদীপুর রহিম সরদারের বাড়ির নিকট সড়ক ৪০ ফুট দৈর্ঘের সেতু নির্মাণ করা হয় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের। কিন্ত আজ পর্যন্ত কেউ ঐ সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারেনি। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের গ্রামীণ সড়ক সেতু কালভাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রহিম সরদারের বাড়ির নিকট সড়কে ৪০ ফুট দৈর্ঘের সেতু নির্মাণ শেষ হয়। সেতু নির্মাণ উদ্ভোধন করেন জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতু করা হয়েছে? দু’পাশে মাটি না ফেলার কারণে সেতুটি কেউ ব্যবহার করতে পারে নাই। এখন রাতের অন্ধকারে সেতুর উপরের অংশ ভেঙে কারা যেন লোহার রড চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শুনেছি ৩২ লাখ টাকায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে আজ পর্যন্ত আমরা দুই তিন গ্রামের মানুষ সেতুটি ব্যবহার করতে পারেনি। এ বিষয়ে সাদীপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ হয়। কিন্তু মাটির বরাদ্ধ না থাকায় সেতুটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। সড়কও তৈরি করা হয়নি। ফলে সেতুটি তৈরির পর অব্যবহৃত পড়ে আছে।
এ বিষয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন মানিক বলেন, আমার আগের চেয়ারম্যান এমন জায়গায় সেতুটি করেছে যেখানে ২০০ ফুট সেতু করা দরকার সেখানে ৩০/৩৫ ফুট সেতু করেছে। কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের বাড়ি কুষ্টিয়া মিরপুর এত টুকুই জানি তাছাড়া আর কিছু জানি না। আমরা এলজিডি বরাবর ২০০ ফিট ব্রিজের জন্য আবেদন করেছি, পাশ হলে ওখানে আবার নতুন সেতু করা হবে। ২০১৫/১৬ অর্থ বছরের নির্মাণ করা সেতুটি কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন পুরাতণ সেতুটি কি করবে সেটা আমার উদ্ধতন কর্মকর্তারা জানেন।
এ বিষয়ে সাদীপুর ইউপি সচিব মো. কাবিরুল ইসলাম বলেন, এ কাজটির বিষয়ে উপজেলার কর্মকর্তারা জানেন।
কুমারখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আমি অল্পদিন যোগদান করেছি কিছু বলতে পারছিনা। আপনি ঠিকানা দিন আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ