পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আওয়ামী লীগ দেশের জাতীয় স্বার্থকে ধুলিস্যাৎ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ তারিখের আগে ২৯ তারিখ রাতে সব ভোট কেটে নিয়েছে। ভোট ডাকাতি করে যারা সংসদ সদস্য হয়েছে, তারাই সরকার গঠন করেছে। তাই এই সরকার অস্বাভাবিক সরকার। ভোট ডাকাতির সরকার। যার কারণে সমাজে বহু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, ক্যাসিনোর মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেছেন।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এখন আবার সরকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেশিনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করার জন্য ইভিএম ব্যবস্থা চালু করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে বলেছি- যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন দেন। ইভিএমের মাধ্যমে নয়। কারণ দেশের জনগণ নিজের হাত দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোট দিতে চায়।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, এখনও সময় আছে। ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। বারবার যদি জনগণের অধিকার হরণ করা হয়, তাহলে জনগণ কিন্তু গণআন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সারা ঢাকা শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। আর আমাদের দুই মেয়র প্রার্থী যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছেন সেখানেই গণস্রোতে পরিণত হচ্ছে। কারণ জনগণ ধানের শীষে ভোট দিতে চায়। এই সরকারকে আর চায় না। তাই ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য জনগণ পাগল হয়ে আছে। আমাদের এই দুই প্রার্থী ইতিমধ্যে জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। এখন শুধু ভোটের জয়ের প্রত্যাশা। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে আমরাই জয় পাব।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন আমাদের আন্দোলনের একটি অংশ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। যার কারণেই বিরোধী প্রার্থী না থেকে দল যাকে সমর্থন দিয়েছে তার হয়ে কাজ করুন। ধানের শীষের কাজ করুন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে সভায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রিনা খানসহ জাসাসের নেতকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।