মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ‘কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে তা ‘অহঙ্কারী শক্তি’ আমেরিকার দম্ভে আঘাত করেছে। আল্লাহ তাদের মুখে ‘চড়’ মারার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
শুক্রবার তেহরানে মোসাল্লা মসজিদে জুমার নামাজে খুতবা প্রদান করেন খামেনি। আট বছরের মধ্যে প্রথম খুতবা পাঠ করেন তিনি। সেখানে এদিন লাখেরও বেশি মানুষ জামাতে যোগ দিয়েছিলেন। মসজিদের প্রবেশপথগুলোতে আমেরিকান পতাকা বিছিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাতে আগতরা সেই পতাকা মাড়িয়ে প্রবেশ করতে পারে। অনেকের হাতে জেনারেল সুলাইমানির পোস্টার এবং মাথায় লাল হেডব্যান্ড দেখা যায়, যেখানে ফার্সীতে লেখা ছিল ‘আল্লাহ মহান’। খামেনির বক্তব্যের সময় কাতারের প্রথম সারিতে ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, যাকে একজন মধ্যপন্থী হিসাবে দেখা হয়। তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিমান বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ ইরানের আইন প্রণেতা, রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য নাগরিকরা।
খামেনী তার খুতবায় প্রথমে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানির প্রশংসা করেন। তিনি ইরাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বাহিনীর উপর প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশংসা করে বলেন, ‘এই দুই সপ্তাহ ছিল অসাধারণ এবং ঘটনাবহুল। তিক্ত এবং মধুর। আমরা অনেক কিছু শিখেছি। ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা মার্কিন প্রশাসনের জন্য লজ্জার। এটা তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র।’ তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ট্রাম্প ছিলেন একজন ‘জোকাড়’ যে কেবল ইরানী জনগণকে সমর্থনের ভান করে তাদের পিঠে ‘বিষাক্ত ছুরি’ ঢুকিয়ে দেবে।’
৪৫ মিনিটের খুতবায় খামেনি আরো বলেন, ‘নিহতদের জন্য আমরা যতটা দুঃখ পেয়েছিলাম, আমাদের শত্রুও ততোই খুশি হয়েছিল। তারা ইসলামি রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ছোট করতে চেয়েছিল এবং তারা ভেবেছিল তারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অজুহাত পেয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তারা এখন বলছে আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করবে, কিন্তু এসবের মাধ্যমে তারা তাদের হারানো সম্মান ফিরে পাবে না। এসময় তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র দশ বারের বেশি ধ্বংস হয়ে যাবে।’ এসময় খামেনি দখলদার ইসরাইলকে একটি ক্যান্সারের টিউমার আখ্যায়িত করে কেউ দেশটির বিরোধিতা করলে তাকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে ২০১২ সালে ইসলামী বিপ্লবের ৩৩তম বার্ষিকীতে জুমায় ইমামতি করেছিলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির ৮০ বছর বয়সী এ নেতা। তখন আরব বসন্তের প্রভাবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তাল ছিল। গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন থেকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।