বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজার দিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন রাখায় বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্ট হয়। এসময় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতালগামী এক ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁর গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করতে যান। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়ান তিনি। এর মধ্যেই তিনি পকেট থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে এক শিক্ষার্থীর বুকে তাক করেন। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ঘটনার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা।
সুজন সরকার তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘শাহবাগে আন্দোলন আসলেই বিরক্তিকর, এখানে যারা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে, তারা যখন চাকরিজীবি হবে, এখানে এসে যখন ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকবে, তখন তারাও বিরক্ত হবে। তবে পিস্তল বের করা একদম ঠিক হয় নি।’
‘একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বহন করা গাড়িটিকে ছাড় দেয়া উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের। এটা সুশিক্ষার একটি অংশ। তারা যেহেতু অন্তঃসত্ত্বাকেও ছাড় দিতে রাজি ছিলো না। সুতরাং, স্বামী বেচারার বুঝা উচিত ছিলো, তারা মানবতা শব্দটির সাথে অপরিচিত। ’ - আক্তারুজ্জামান কমলের মন্তব্য।
ঘটনাটির জন্য উভয়কে দায়ি করে জাহিদুর রহমান লিখেন, ‘দুই পক্ষেরই দোষ আছে। ছাত্রদের উচিত ছিলো, যেহেতু ওনার বউ অন্তঃসত্ত্বা সেহেতু তাদের গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া। আর ঐ ব্যক্তির ভুল হচ্ছে রেগে গিয়ে পিস্তল বুকে ধরা। আমাদের সমস্যা হচ্ছে কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাই না।’
‘হরতাল, অবরোধ যাই করুক। অন্তত মানবিক দিকগুলো বিবেচনায় রেখে এসব করা উচিৎ। ব্যবসায়ীর জায়গার আমি হলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারতাম না।’ - লিখেন ফরহাদ হোসেন।
এমডি সানাউল্লাহর দাবি, ‘শাহবাগে রাস্তা অবরোধ নিষিদ্ধ করা উচিৎ। কারণ আশেপাশে বেশ কয়েকটি বড় হাসপাতাল আছে, সেখানে অনেক ইমার্জেন্সি রোগী আসে। এছাড়া এটা ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র। এখানে যানজট হলে পুরো ঢাকা যানজটে পরে যায়।’
‘শাহবাগে পরিকল্পিতভাবে ফ্লাইওভার বানানো উচিত, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। কেননা অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনেরও দরকার আছে।’ - নাঈম মোল্লার পরামর্শ।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে তন্ময় ইসলাম লিখেন, ‘কিছুদিন আগে স্কুলের বাচ্চারা আন্দোলোন করার সময়, তারা যা শিখিয়ে দিয়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়া এই শিক্ষার্থীদের মাথায়ও কি সেই শিক্ষা নাই?
‘যতো বড়ই অবরোধ বা হরতাল হোক না কেন, এর মধ্যে যদি কোন অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং অসুস্থ রোগী আসে, তাহলে তাকে অবশ্যই রাস্তা পরিস্কার করে দিতে হবে। আর এটা সবার নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।’ - মনে করেন শান্তা আক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।