বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বরসতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ঢাবি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ভোট পেছানোর দাবি তুলেছেন। আবার অনেকে তারিখ না পেছানোর পক্ষেও মত দিয়েছেন। পক্ষে তুলে ধরছেন নানা যুক্তি। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে যে রিট করা হয়েছিল, গত ১৪ জানুয়ারি তা সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘সামনে এসএসসি পরীক্ষা, তাই নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই।’
ভোট না পেছানোর পক্ষে মত দিয়ে ইয়াসিয়া তনু লিখেছেন, ‘‘মানে অসহ্য। ফেব্রুয়ারিতে যে এসএসসি পরীক্ষা এদের কি তা চোখে পরে না? নির্বাচন পিছালে পরীক্ষার সাথে তো ক্ল্যাশ হবে।’’
মোহাম্মাদ ইসমাইল লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর অনেক দেশেই অফিস বন্ধের দিনে ভোট হয়ে থাকে, আমাদের দেশে পূজার দিনে ভোট হলে সমস্যা কোথাই?’’
‘‘সাম্প্রদায়িক-অসাম্প্রদায়িক বুঝিনা, সরকারি ছুটির মধ্যে আবার কিসের ভোট? এই ইস্যু টা আরো আগেই সামনে আশা উচিত ছিলো’’ লিখেছেন রবি হাসান।
ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল সিংহ লিখেছেন, ‘‘এটার মাধ্যমে সরকার যে ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছে সেটা হলো ভোটে লোকজন যাতে কমে যায়, হিন্দুরা বয়কটের ডাক দেয়। মানুষ যত কম ভেজালও তত কম। ইলেকশান তো হবেনা সিলেকশান হয়ে আগেই ঠিক আছে কে হবে৷’’
‘‘সরকার ইচছায় ইসি এই তারিখ দিয়েছে একদিন দুইদিন আগে নির্বাচনের তারিখ দিতে পারতো। এটা হিন্দুদের সাথে তামাসা’’ তুহিন রফিকের মন্তব্য।
মেহেদী হাসান রবিন লিখেছেন, ‘‘সকল সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে ইসিকে অনুরোধ করবো নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হোক। আমরা ভারতের মত ধর্মীয় উগ্রতা চাই না৷ আমাদের বাংলাদেশ হবে সকল ধর্মের সহবস্থানে থাকা একটি দেশ।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।