পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় একটি মসজিদের কাছে বুধবার অগ্নিবোমা হামলা চালানো হয়েছে। মুসল্লিরা এ সময় নামাজ আদায় করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এক মুসলিম নেতা একে জঘন্য অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন।
বুধবার রাতের পার্থের উপশহর থর্নলিতে এ হামলায় মসজিদ ও ইসলামিক কলেজের বাইরে তিনটি গাড়িসহ একটি গাড়ি রাখার স্থান ধ্বংস হয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানায়, মসজিদ ও ইসলামিক কলেজকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল।
বিধ্বস্ত একটি গাড়ির কাছে কলেজের দেয়ালে ইসলামবিরোধী একটি গ্রুপের পক্ষে কিছু লেখা ছিল। মসজিদের এক মুসল্লি ইয়াহিয়া আদেল ইব্রাহিম ফেসবুকে বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ। এটি একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা কোন এক ব্যক্তির কাজ। এধরনের কাজে বহুসংখ্যক মানুষের কোনো অংশগ্রহণ থাকতে পারে না।
তিনি আরো লেখেন, হামলা সত্ত্বে¡ও মুসল্লিরা নামাজ শেষ করেছেন। কেউ নামাজ ছেড়ে প্রতিশোধ স্পৃহায় জ¦লে ওঠেননি।
গত বছর অস্ট্রেলিয়া থেকে বেশকিছু নাগরিক ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদিদের পক্ষে যুদ্ধ করতে যাওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে ইসলামবিরোধী মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কিন্তু গত শনিবার সাধারণ নির্বাচন পার করে আসা প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ঐতিহ্য রয়েছে। স্থানীয় এক রেডিওকে তিনি বলেন, এধরনের জঘন্য হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অস্ট্রেলিয়ান ইসলামিক কলেজের নির্বাহী অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ খান বলেন, এ হামলার সঙ্গে ইসলামবিরোধী গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, ২৪ মিলিয়ন অধিবাসীর মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ মুসলমান। বাকি জনসংখ্যার বেশিরভাগই খ্রিস্টান। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।