Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নয়নের চাপাবাজী শুনতে শুনতে মানুষ ক্লান্ত -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:১০ পিএম

ভয়াবহ দুঃশাসন আর উন্নয়নের চাপাবাজী শুনতে শুনতে দেশের মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, লুটপাটের উন্নয়নের কথা শুনতে শুনতে জনগণ প্রচ- অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও নির্লজ্জ সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের গলাবাজী থামছেই না। তবে বাগাড়ম্বর করে জনগণের ক্ষোভকে নেভানো যাবে না। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে রাজধানীর শান্তিনগরস্থ কর্নফুলী গার্ডেন সিটির সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কয়েকটি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুবদল নেতা সোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডাঃ জাহিদুল কবির জাহিদ, মোর্শেদ আলম, বাবুল সারেং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ, ছাত্রদল নেতা জাভেদ ইকবাল, মামুন হোসেন ভূঁইয়া, ফজলুল হক নীরব, আসলাম, দুলাল, যুবদল নেতা ফারুক পাটোয়ারীসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে পদদলিত করে চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র দখল করে সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে যেধরণের পেশীশক্তি প্রদর্শন করা হলো তাতে আগামী ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে জনমনে গভীর শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিজের সাংবিধানিক স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য কলুষিত নির্বাচন ও ভোটের কারণে দেশে চরম রাজনৈতিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের দাম্ভিকতা ও প্রতিহিংসার শিকার বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে জীবন বিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে। দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে আমরা বাইরে বসে থাকতে পারিনা, তাঁর মুক্তির জন্য দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে বারবার এটি সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত হয়েছে যে, তাঁর ইচ্ছাতেই বেগম জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ বেগম জিয়াকে নিয়ে কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আয়েশ-পায়েশ’ ইত্যাদি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তাঁর নিষ্ঠুর মনেরই পরিচয় পাওয়া যায়। যে নেত্রী গণতন্ত্রের পক্ষে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে সেই দেশনেত্রীকে নির্যাতন করে শেখ হাসিনা আনন্দ লাভ করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরশাসকদের বন্দীশালা থেকে বারবার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আপোষহীন সংগ্রাম করেছেন যে দেশনেত্রী তাকে বন্দী রেখে বর্তমান সরকার যে নিষ্ঠুর খেলা খেলছে তার পরিণাম শুভ হবে না। বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভয়াবহ দুঃশাসন ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর যে হিং¯্র আচরণ চালাচ্ছে তাতে বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের ইতিহাস হার মেনেছে। নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও দখলবাজ-লুটেরারা দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতীয়তাবাদী শক্তি জনগণকে সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে এখন দৃঢ়বদ্ধ। রিজভী অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ