পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনোর টাকায় সম্পদের পাহাড় গড়া রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই একই কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের সিআইডি বিভাগ গতকাল সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় নগদ ৪০ লাখ টাকা, ১২টি মোবাইল ফোন, বাড়ির দলিলপত্র এবং ব্যাংকের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির ডিআইজি (অর্গাইজড ক্রাইম) ইমতিয়াজ আহমেদ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ২২টি জমির দলিল, ৫টি গাড়ির কাগজ এবং ৯১টি ব্যাংক হিসেবে ১৯ কোটি টাকার কাগজপত্র পাওয়া গেছে। ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা অবস্থায় আছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের শুরুর দিকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এনু-রুপন ও তাদের দুই সহযোগীর বাসা থেকে ৫ কোটির বেশি টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণ (৭০০ ভরি) ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় ৭টি মামলা হয়। ওই সময় এনু-রুপন এবং তাদের দুই সহযোগী হারুন অর রশিদ ও আবুল কালাম গা ঢাকা দেন। মামলাগুলোর মধ্যে মানি লন্ডারিং আইনের চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
সিআইডির ডিআইজি (অর্গাইজড ক্রাইম) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, অভিযান শুরুর পর প্রথমে তারা কক্সবাজার যান। মিয়ানমার অথবা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। না পেরে তারা কেরাণীগঞ্জে চলে আসেন। তাদের কর্মচারীর বাসায় তারা এতদিন অবস্থান করছিলেন। তাদের কাছে ৪৬ লাখ টাকা ছিল। এই টাকা দিয়ে তারা ভুয়া পাসপোর্ট করে ভারত হয়ে অন্য দেশে যেতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরো জানান, তদন্তে নতুন ডাইমেনশন আসবে। এদের পেছনে কারা হোতা ছিল তা বেরিয়ে আসবে। মূলত নেপালিদের মাধ্যমে তারা ক্যাসিনোর আধুনিক সরঞ্জাম ঢাকায় নিয়ে আসে। তাদের যত সম্পত্তি, টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি সবই বø্যাক মানির মাধ্যমে অর্জন করা। সংবাদ সম্মেলনে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গত সেপ্টেম্বরে দুজনের বাড়িতে অভিযানের সময় ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি সেগুলো বø্যাকমানি (কালো টাকা)। দেশের বাইরে পাচার করতে তারা সেগুলো রেখেছিলেন।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, এনামুলের আয়কর নথি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তার বৈধ কোনো আয়ের উৎস নেই। তিনি ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অবৈধ উপায়ে আয় করা অর্থ দিয়ে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছে। এসব তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি অবৈধ আয়ের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে বলে দুদকের কাছে তথ্য আছে। অন্যদিকে, এনামুলের ভাই রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। মামলার এজাহারে বলা হয়, রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে- বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।