পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হল- উপজেলার গর্ন্ধবপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ, কর্ণগোপ এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আফজাল ও রূপসী প্রধান বাড়ি এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু সুফিয়ান সোহান। আবু সুফিয়ান সোহান তারাবো পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ধর্ষিতা মেয়েটি গন্ধর্বপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন আগে গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ মেয়েটির কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে মেয়েটি ধারের টাকা ফেরত আনতে যায়। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিফ, আফজাল, তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান, তানভীরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন মেয়েটিকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়িতে ও কর্ণগোপ এলাকার একটি বাড়িতে দুই দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে উদ্ধার করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে এলাকাবাসী ও গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- কাউন্সিলর হোসেন আহমেদ রাজীব, গর্ন্ধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, তারাবো পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রাসেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফারুক প্রধান, তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাদল, শিক্ষক শিহাবুর রহমান, আব্দুস সোবহান, মাহমুদ সোমা প্রমূখ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। তিনি বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন কেউই পার পাবে না। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো। রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) রফিকুল হক জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর জড়িত ৩ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।