Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খলিফা হাফতারের অনুগতরা লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ পিএম

লিবিয়ায় কমান্ডার খলিফা হাফতারের প্রতি অনুগত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএন) শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ওইসব যোদ্ধারা পশ্চিমাঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী ত্রিপোলি। শর্ত দেয়া হয়েছে, প্রতিপক্ষরা যদি এই যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করে তবেই তাদের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং তা শুরু হবে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে। উল্লেখ্য, রাজধানী ত্রিপোলিকে দখল করতে এপ্রিল থেকে জাতিসংঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ডের (জিএনএন) বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে খলিফা হাফতারের প্রতি অনুগত বাহিনী। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে বিমান হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এতে বিদেশী সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দেয়।

এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে যুদ্ধরত বাহিনীগুলোর প্রতি বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক ও রাশিয়া। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এলএনএ।

এলএনএর মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি শনিবার দিনশেষে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, লিবিয়ার পশ্চিমে একটি যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করেছে এলএনএ। তবে অন্যপক্ষগুলো যদি তা মেনে চলে তবেই তা কার্যকর হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনোভাবে কেউ এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে। লিবিয়ায় জাতিসংঘের সাপোর্ট মিশন এই যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে এই যুদ্ধবিরতি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে লিবিয়ান-লিবিয়ান সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষের মধ্যকার বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায়।

ত্রিপোলিভিত্তিক ফায়েজ আল সেরাজের নেতৃত্বাধীন জিএনএর প্রতি সমর্থন রয়েছে তুরস্কের। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলীয় শক্তির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে রাশিয়ার সামরিক কন্ট্রাক্টরদের। জিএনএর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রস্তাবিত যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধবিরতিকে তারা স্বাগত জানান। একই সঙ্গে খলিফা হাফতারের আক্রমণ থেকে লিবিয়ানদের রক্ষা করার দায়িত্ব রয়েছে তাদের।

আল জাজিরা লিখেছে, সম্প্রতি রাজধানী ত্রিপোলি, কৌশলগত উপকূল সিরতে এলাকায় যুদ্ধ তুমুল আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় সেখানে যুদ্ধবিরতি মেনে চলা খুব কঠিন হতে পারে। এর কারণ, লিবিয়ার সেনা জোটগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভক্তি, দুর্বল প্রকৃতি। হাফতারের অনুগত সেনারা এ সপ্তাহে সিরতে দখলে নিয়েছে। তারা বিমান হামলা চালিয়ে এই দখল প্রতিষ্ঠা করে। ওদিকে শনিবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, লিবিয়ার শান্তি আলোচনা হবে বার্লিনে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ