Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ওবায়দুল-ফখরুল বাহাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

পৌষের শেষ প্রান্তে প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষ কাবু। কুয়াশার চাদরে চাপা পড়ে থাকে গোটা দেশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কার্যত রাজনীতির ওপর বরফ জমাট বেঁধেছে। এমনিতেই ক্ষমতাসীন দল ছাড়া রাজনীতির কাঠে অন্যেরা নেই। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ইস্যু ‘রাজনীতি মাঠে গড়ায়’ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মধ্যে শুরু হয়েছে বাহাস।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে পারেন না। সে কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে মস্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ওবায়দুল কাদের দুঃখ করে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এ কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? বিএনপির মহাসচিব মেয়র নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন অথচ আমি (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) অংশ নিতে পারছি না। এটাকে কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে? অবশ্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সভায় স্থানীয় নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় অংশ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা কৌশলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, বোকা বানিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই রাখতে চান। আপনি খুব দুঃখ নিয়ে বলেছেন, মির্জা ফখরুল যদি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন তবে আমি পারব না কেন! একশবার পারবেন, এই মুহ‚র্তে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। আসেন একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা করি। আইন বলে মন্ত্রী ও এমপি থাকলে এটা পারবেন না। পদত্যাগ করে আসেন আপনি নৌকা ও আমি ধানের শীষের জন্য প্রচারণা করি। আসুন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। দেখা যাক, জনগণ কার দিকে থাকে। আমরা এ কথা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি ক্ষমতা থেকে নেমে আসুন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। একটা নিরপেক্ষ সরকারকে বসিয়ে দিন। আপনারা জানেন এটা কোনো দিনই হবে না।

বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রচারের পর ওবায়দুল কাদের নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ফাইভ স্টার মাঠে সভায় বলেন, চলতি শীত মৌসুমে উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত পড়েছে। এই শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে উত্তরাঞ্চলের একজন মানুষও যাতে কষ্ট না পায়, একজন মানুষেরও যেন মৃত্যু না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আপনাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এসেছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি উত্তরবঙ্গে। এখানকার মানুষ শীতে কষ্ট করছে। অথচ তিনি ঢাকায় বসে আছেন। তিনি জনগণের পাশে নেই। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের খড়া নির্বাচনেও খড়া।

ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইস্যুতে বড় দুই দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নেতার বাহাস সামনে আরো কত তীব্র হয়, ঠান্ডা আবহাওয়াকে কতটুকু গরম করে সেটা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ