Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী নেত্রীদের দাবি ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতায় নারী ও শিশুরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

নারী নেত্রীরা বলেছেন, দেশে ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নারী ও শিশুরা বসবাস করছে। পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, কিন্তু তারা তা পারছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশে নারী নেত্রীরা এসব কথা বলেন। সমাাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিলা ফোরাম এর ঢাকা নগর শাখার সদস্য রুখসানা আফরোজ আশা, প্রীতিলতা, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য জেসমিন আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা নগর শাখার সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম। নারী নেত্রীরা আইন শৃংখলায় নিয়োজিত বাহিনীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, কুর্মিটোলার ঐ জায়গাটিতে আগেও নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই ছিল নিয়মিত ঘটনা। মাদকাশক্ত-ভবঘুরেদের আড্ডা এই এলাকায় ছিল। সেখানে আলোকসল্পতা ছিল। তাহলে রাষ্ট্র ও পুলিশ প্রশাসনের কাজ কি ছিল? সারা ঢাকা শহরে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল এসব এলাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু রাষ্ট্র ও পুলিশ প্রশাসনের কোন কার্যকর উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়ে না। তারা বলেন, আসলে সারাদেশে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা বন্ধ এবং
নারী নেত্রীরা বলেন, সন্ধ্যা ৭টার সময় রাজধানী ঢাকায় ক্যান্টনমেন্টের মতো সুরক্ষিত এলাকার পাশে রাস্তা থেকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়Ñএ থেকেই বোঝা যায় সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। বিচারহীনতার রেওয়াজ, আইনের দীর্ঘসূত্রিতা, নারীর প্রতি সমাজের অধস্তন দৃষ্টিভঙ্গী, মাদক-পর্নোগ্রাফির বিস্তার ইত্যাদির ফলে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা বলেন, সারাদেশে নারী-শিশু ধর্ষণ ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে দুইগুণ বেড়েছে। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে নারী-শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ৭ হাজার ৯০০টি এর মধ্যে ধর্ষণ মামলা ৫ হাজার ৪০০টি। শিশু আধিকার ফোরাম তাদের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে যে প্রতি মাসে গড়ে ৮৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। গণপরিবহণে ৯৪% নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দেশেএমন ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নারী ও শিশুরা বসবাস করছে। সমাবেশ থেকে নেত্রীরা বলেন, নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা বন্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনের কঠোর প্রয়োগে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ