পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটির মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ঐতিহ্য ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়তে ভোট চেয়েছেন তাপস। আর অচল শহরকে সচল করতে, একটি আধুনিক, মানবিক, গতিময় শহর গড়তে আগামী ৩০ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন আতিকুল ইসলাম।
গতকাল সকালে প্রতীক পাওয়ার পর সাড়ে দশটায় ডেমরার ৭০ নং ওয়ার্ড আমুলিয়া মডেল টাউন থেকে প্রচারণা শুরু করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন আতিকুল ইসলাম।
দক্ষিণের ৭০ নম্বর ওয়ার্ড ডেমরা আমুলিয়া মডেল টাউন, মেহেন্দিপুর বাজার, মীরবাগ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তাপস। এরপর ডগাইর, কোনাপাড়া, বাশেরপুল, বড় ভাঙ্গা, মুরগীর ফার্ম এলাকায় গনসংযোগ চলান তিনি। প্রচারণাকালে সাধারণ জনগনের মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশ ছিল। প্রচারণায় নিজে উপস্থিত থেকে ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি তাপস বলেন, ঐতিহ্য ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়ার যাত্রা শুরু হল আজ। আমি আশা করবো ঢাকা দক্ষিণের জনগণ ভোট দিয়ে আমার পাশে থাকবেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ। প্রচারণায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, ৭০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আতিকুর রহমান, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হানিফ তালুকদার, ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সামসুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল, ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ ও ৬১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহে আলম, ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পলিনসহ আরো অনেকে।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেন, একটি আধুনিক, মানবিক, গতিময় শহর গড়তে আগামী ৩০ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিন। এই অচল শহরকে সচল করতে, একটি আধুনিক, মানবিক, গতিময় শহর গড়তে আগামী ৩০ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিন। আমি কাজপাগল একজন মানুষ, আমি কাজ করতে চাই। আমি ফাঁকি মারতে পছন্দ করি না। এই কাজপাগল মানুষ আপনাদের নিয়ে এই শহর গড়তে চায়।
তিনি বলেন, নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই, নৌকার শুধু উন্নয়নের গিয়ার আছে। নৌকার গিয়ার একটাই-ফ্রন্ট গিয়ার। সাবেক এই মেয়র বলেন, ডেঙ্গু আমাদের জন্য একটি অশনিসংকেত। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের ৩৬৫ দিনই কাজ করতে হবে।
নিজের বয়স নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, এক সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আমার প্রতিপক্ষ না কি বলেছে আমার তো বয়স হয়ে গেছে। আমি বলতে চাই-বয়সের চেয়ে বড় হচ্ছে মাথার ভেতরে বয়স কত রয়েছে। আমি মনে করি, আমার প্রতিপক্ষ থেকে আমার সেই মাথার বয়স বেশি আছে, সাহস আছে। আমার মাথার যে বয়স আছে, সেই বয়স দিয়ে আমার প্রতিপক্ষকে আরও ৫০ বছর বেশি সামনের দিকে নিতে পারব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান, জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।