মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত মহাসাগরের দ্বীপ ও সামরিক ঘাঁটি দিয়াগো গার্সিয়ায় ছয়টি বি-৫২এইচ স্ট্রাটোফোরট্রেস দূর-পাল্লার কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অজ্ঞাত সূত্র উল্লেখ করে সিএনএনের এক খবরে বলা হয়, নির্দেশ দেয়া হলে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে প্রস্তুত এসব বোমারু বিমান। তবে এই বোমারু বিমান মোতায়ন অভিযানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে কোনো ইঙ্গিত বহন করছে না বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।
সামরিক বিমান পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে এই ঘটনা সামনে চলে এসেছে। লুইজিয়ানায় বার্কসডালে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে দুটি বোমারু বিমান উড়াল দেয়ার ঘটনা শনাক্ত করতে পেরেছেন তারা। তবে অভিযানগত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিমানগুলো পাঠানোর খবর গোপন রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বর্তমানে ৫৮টি বি-৫২এইচ দূর-পাল্লার, ভারি কৌশলগত বোমারু বিমান রয়েছে। এই বিমানগুলো উচ্চ পর্যায়ের সাবসনিক গতিতে ৫০,০০০ ফুট উপর দিয়ে উড়তে পারে। এগুলো ৩১,৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের পারমাণবিক ক্রুজ মিসাইল ও প্রচলিত ধরনের বোমা বহন করতে পারে। তবে ২০১০ সালে নতুন কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস চুক্তির (স্টার্ট) অংশ হিসেবে ৪১টি বি-৫২এইচ বিমানকে পরমাণু অস্ত্র বহনের বাইরে রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম বিমান ঘাঁটিতেও এসব বিমান মোতায়েন করে রাখা আছে। এসব বিমান ২০১৯ সালে অনেকবার পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের উপর টহল দিয়েছে। এই টহলের নিন্দা করে করে চীন।
চলতি সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে চার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের পরে দিয়াগো গার্সিয়ায় ছয়টি বি-৫২এইচ মোতায়েনের খবর পাওয়া যায়। সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় ইরান প্রতিশোধের ঘোষণা দিলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নতুন মাত্রায় চলে যায়। তবে সা¤প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের এটাই একমাত্র বোমারু বিমান মোতায়েনের ঘটনা না। এর আগে গত বছরের মে-তে আল উদায়েদ বিমান ঘাঁটিতে চারটি দূরপাল্লার বোমারু পাঠিয়েছিল দেশটি।
পেন্টাগনের বরাতে মেইল অনলাইনের খবরে জানা গেছে, ইরানের নিকটবর্তী মধ্যপূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। কিন্তু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় বাইরে রাখতেই দিয়াগো গার্সিয়ায় এসব বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। ইরানের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে দিয়াগো গার্সিয়ার অবস্থান ৪,৮০০ কিলোমিটার দূরে। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক ঘাঁটিতে বোমারু বিমানগুলো মোতায়েন করলো যেগুলো ইরানের মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার বাইরে।
১৮ শতকে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল দিয়াগো গার্সিয়া। নারিকেল চাষ করতে সেখানে আফ্রিকান দাসদের নিয়ে আসা হয়েছিল। ১৮১৪ সালে দ্বীপটি ব্রিটেনের কাছে ছেড়ে দেয়া ফ্রান্স। ১৯০৩ সালে এটি মরিশাসের সঙ্গে একীভ‚ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে মরিশাস থেকে চাগোস দ্বীপকে আলাদা করে ফেলে ব্রিটেন। বিনিময়ে তাদের তিন কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। বছর তিনেক পরে দেশটি স্বাধীন হয়ে গেলে দ্বীপটি ব্রিটিনের নিয়ন্ত্রণেই থেকে যায়। যদিও এটির বৈধ মালিকানা মরিশাসের।
ব্রিটেন এটাকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নামে আখ্যায়িত করে। ১৯৬৬ সালে ৫০ বছরের জন্য দ্বীপটিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইজারা দেয় ব্রিটিশরা। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে দ্বীপটি থেকে দুই হাজার চাগোসকে উচ্ছেদ করে তাদের মরিশাস ও সিসিলিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সূত্র : দি ডিপ্লোম্যাট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।